জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল সংসদ নির্বাচনে ভোট শুরুর পরই চোখে পড়েছে গুরুত্বপূর্ণ ত্রুটি। ব্যালট পেপারে কার্যকরী সদস্য পদে তিনজনকে ভোট দেওয়ার কথা থাকলেও, সেখানে নির্দেশনায় লেখা ছিল কেবল একজনের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেওয়ার কথা।
এ নিয়ে সকালেই কয়েকজন ভোটার নিজেদের বিভ্রান্তির কথা জানান। একজন শিক্ষার্থী বলেন, “তিনজনকে ভোট দেওয়ার কথা থাকলেও ব্যালটের নির্দেশনা পড়ে একটু দোটানায় পড়েছিলাম। পরে ভোটকেন্দ্রের কর্মকর্তারা বিষয়টা বুঝিয়ে দেন।”
হলের পোলিং কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার মণ্ডল জানান, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে—তারা যাতে সদস্য পদে তিনজন প্রার্থীকে ভোট দেন। সবাই ঠিকভাবেই টিক দিচ্ছেন।”
আরেকজন পোলিং কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, “যেসব ব্যালটে ভুল নির্দেশনা ছিল, আমরা সেগুলো সংশোধন করে দিয়েছি। এখন ভোটগ্রহণ স্বাভাবিকভাবেই চলছে।”
ভোটারদের মাঝে কিছুটা বিভ্রান্তি তৈরি হলেও, কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সকাল গড়িয়ে দুপুরে যখন ভোটারদের সারি বাড়তে থাকে, তখন অনেকেই নির্বিঘ্নে নিজেদের মত প্রকাশ করছেন ব্যালট পেপারে।
ভোটের এই ছোট ভুল হয়তো অনেকের নজরে আসেনি, কিন্তু তা দেখে মনে পড়ে যায়—গণতন্ত্রের প্রতিটি ধাপে যত্ন দরকার, মনোযোগ দরকার, যেন একটি ছোট ভ্রান্তি থেকেও যেন কোনো বড় ভুল জন্ম না নেয়।

















