পটুয়াখালী দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে চাকরিচ্যুত উপসহকারী পরিচালক মো. শরিফ উদ্দিন যে কোনো সময় গুম হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন- অজ্ঞাত স্থানে আছি, যে কোনো সময় গুম হয়ে যেতে পারি।
সর্বশেষ তিনি পটুয়াখালী দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। বুধবার দুদক কর্মচারী চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী দুদক চেয়ারম্যান মো. মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ উপসহকারী পরিচালক শরিফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করেন।
চাকরিচ্যুত উপসহকারী পরিচালক মো. শরিফ উদ্দিন বলেন, আমার দীর্ঘ সাত বছরের চাকরি জীবনের বেশি সময় চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার এলাকায় চাকরি করেছি। সে সময় আমি অনেক বড় বড় ব্যক্তিদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করেছি। বিশেষ করে চট্টগ্রামে জমি অধিগ্রহণে অনিয়ম এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে ১৫৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছি।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেওয়ার বিষয়ে ২০ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছি। চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম নিয়ে কাজ করেছি। এছাড়া পেট্রোবাংলার একটি প্রকল্পের অনিয়ম নিয়ে কাজ করতে গিয়ে পেট্রোবাংলার ডিরেক্টর (প্লানিং) আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দিয়েছি। এ কারণে গত ৩০ জানুয়ারি (আইয়ুব খান) আমার বাসায় এসে আমাকে এক সপ্তাহের মধ্যে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার হুমকি দেন। এ ঘটনায় আমি অধিদপ্তরকে অবহিত করেছিলাম। তবে এক সপ্তাহ নয় তার একটু বেশি সময় লেগেছে।
মো. শরিফ উদ্দিন বলেন, ১৬ দিনের মাথায় আমাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলো। এর আগে আমাকে কোনো ধরনের কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়নি। এখন আমি অজ্ঞাত স্থানে আছি, যে কোন সময় গুম হয়ে যেতে পারি।
এদিকে দুদক কর্মচারী আইনের একটি ধারাকে কালো আইন দাবি করে এটি বাতিলসহ শরিফ উদ্দিনকে অসাংবিধানিকভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন দুদকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে পটুয়াখালী দুদক কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সহকারী পরিচালক মো. আরিফ হোসেন, সহকারী পরিদর্শক কৃষ্ণ পদ বিশ্বাস, উপসহকারী পরিদর্শক সিকদার মুহম্মদ নুরুন্নবী, উচ্চমান সহকারী মো. নুর হোসেন গাজীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।