নিহত সন্দ্বীপের সাত প্রবাসীর অপর দুজনের মধ্যে একজনের বাড়ি মাইটভাঙ্গায়, অপরজনের সন্দ্বীপ পৌরসভার রহমতপুরে।
শাহাবুদ্দীনের পাশেই বাবলুর ঘর।
সন্দ্বীপ পৌরসভার রহমতপুরের রনির পরিবারে চলছে শোকের মাতম। তিন বছর আগে একসঙ্গে পুকুরে ডুবে মারা যায় তার দুই ভাইয়ের দুই সন্তান, গত বছর লিভার ক্যান্সারে হারিয়েছেন আরেক ভাইয়ের এক সন্তানকে। আজ বুধবার দেড় বছরের একমাত্র সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে চলে গেলেন রনিও।
মাইটভাঙ্গা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিহত প্রবাসী জুয়েল ওমানে আছেন ছয় বছর ধরে। ৬-৭ মাস আগে ছুটিতে বাড়ি এসে পাকা ঘর নির্মাণের কাজে হাত দিয়েছিলেন; কিন্তু শেষ করে যেতে পারেননি।
জুয়েলের বাবা জামাল কালের কণ্ঠের এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে তার প্রেরিত টাকা দিয়ে বিল্ডিংয়ের ছাদের কাজ শুরু করার কথা, ঘর তো হবে; কিন্তু সে ঘরে থাকবে কে? আপনাদের মাধ্যমে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কাছে আমার জোর দাবি, দ্রুত আমার ছেলের মরদেহটা যেন দেশে পাঠানো হয়। তার তৈরি ভবনের সামনেই তার জানাযাটা করতে চাই।’
সারিকাইত ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাসলিমা বেগম জানান, প্রবাসে একসঙ্গে এত জনের অকালমৃত্যুর ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ওমানে কর্মরত স্থানীয় প্রবাসী মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। দূতাবাস কর্মকর্তারা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন।’
সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মংচিংনু মারমা জানান, নিহতদের দাফন-কাফনের বিষয়ে সরকারিভাবে যা যা সহযোগিতা দরকার তা করা হবে।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির নেতা প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন, বিএনপির উপজেলা আহবায়ক অ্যাডভোকেট আবু তাহের ও জামায়াত নেতা আলাউদ্দীন সিকদার নিহত রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনাসহ শোকসন্তপ্ত পরিবাবের প্রতি সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি বিত্তবানদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেন, উপজেলার মাছনা এলাকার জসিম নামের এক ব্যক্তি ঘেরের মাছ পাহারার জন্য ঘেরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে রেখেছিলেন। সেই ঘেরের পাশে খালে মাছ ধরতে গিয়ে অসাবধানতাবশত বিদ্যুতের তার জড়িয়ে আব্দুস সাত্তারের মৃত্যু হয়েছে।
ওসি আরো বলেন, মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমরা লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।


















