শুক্রবার , ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

দুর্নীতির ২৭ হাজার কোটি টাকা উদ্ধার

প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২ ৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ

৫ বছরে লুটপাটের ৬৮ শতাংশই থাকছে আদায়ের বাইরে

দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বের করে নেওয়া সরকারি অর্থ থেকে গত ৫ বছরে আদায় হয়েছে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা। এ অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়েছে। ব্যাংক, জ্বালানি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, বিদ্যুৎ, টেলিকমসহ বিভিন্ন উৎস থেকে এ অর্থ ফেরত আনা হয়েছে।

নিরীক্ষা বিভাগের হিসাবে একই সময়ে প্রায় পৌনে এক লাখ কোটি টাকার অনিময় শনাক্ত হয়েছে। ফলে তছরুপের প্রায় ৬৪ শতাংশই থাকছে আদায়ের বাইরে। বছরের পর বছর পার হলেও এ টাকা আদায় হচ্ছে না।

কবে নাগাদ উদ্ধার হবে, আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে আছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) কার্যালয় সূত্রে অর্থ আদায়ের হিসাবটি পাওয়া গেছে।

এদিকে অডিটে চিহ্নিত অনিয়মের অর্থ কম আদায় নিয়ে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সর্বশেষ সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। এতে অডিট আপত্তির মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির পর অর্থ আদায় ও তা কোষাগারে জমা দেওয়ার ওপর তাগিদ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়েছে।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থা থেকে অনিয়ম ও দুর্নীতির অর্থ উদ্ধারের ২০২১ সালের হিসাবটি এখন চূড়ান্ত হয়নি। তবে ২০১৫-২০২০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন খাত থেকে উল্লিখিত অঙ্কের অর্থ উদ্ধার করেছে সিএজি। এর মধ্যে ২০১৯-২০২০ সালে অর্থ উদ্ধারের অঙ্ক ৬ হাজার ৪২১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা এবং ২০১৮-২০১৯ সালে উদ্ধারকৃত টাকার অঙ্ক ৯ হাজার ৭৭৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

এছাড়া ২০১৭-১৮ সালে সিএজি অফিস অনিয়মের অর্থ উদ্ধার করে ৮ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা, ২০১৬-২০১৭ সালে এ অঙ্ক হলো ৭৩১ কোটি ৯৪ লাখ এবং ২০১৫-২০১৬ সালে ছিল ১ হাজার ৬৮৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অনিয়মের অর্থ উদ্ধার প্রসঙ্গে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি রুস্তুম আলী ফরাজী যুগান্তরকে বলেন, অডিট অনিয়মের অর্থ আদায় কিছুটা কমেছে করোনার কারণে।

দীর্ঘদিন কমিটির বৈঠক হচ্ছে না। বৈঠক হলে অডিট আপত্তির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবদের ডাকা হয়। এতে অনেক অনিয়মের অর্থ উদ্ধার সম্ভব হয়। তিনি বলেন, আদায়ের আরও একটি বড় সমস্যা হচ্ছে অনেকে অবসর জীবনে চলে যান। যদিও আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে তারা জড়িত। তবে আমি যদি দেখি আপত্তি সঠিক, তবে সেখানে যে কেউ হোক টাকা আদায় করে থাকি।

তিনি আরও বলেন, গত জানুয়ারিতে নতুন বছরের অডিট রিপোর্ট কমিটিতে আসার কথা। কিন্তু এখনো আসেনি। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশ (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতি ও অনিয়মের অর্থ আদায় আমি মনে করি সিএজি অফিসের একটি ভালো উদ্যোগ। আমরা লক্ষ করছি অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে সিএজি অফিস আগের তুলনায় এখন অনেক তৎপর।

দীর্ঘদিন কমিটির বৈঠক হচ্ছে না। বৈঠক হলে অডিট আপত্তির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবদের ডাকা হয়। এতে অনেক অনিয়মের অর্থ উদ্ধার সম্ভব হয়। তিনি বলেন, আদায়ের আরও একটি বড় সমস্যা হচ্ছে অনেকে অবসর জীবনে চলে যান। যদিও আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে তারা জড়িত। তবে আমি যদি দেখি আপত্তি সঠিক, তবে সেখানে যে কেউ হোক টাকা আদায় করে থাকি।

তিনি আরও বলেন, গত জানুয়ারিতে নতুন বছরের অডিট রিপোর্ট কমিটিতে আসার কথা। কিন্তু এখনো আসেনি। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশ (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতি ও অনিয়মের অর্থ আদায় আমি মনে করি সিএজি অফিসের একটি ভালো উদ্যোগ। আমরা লক্ষ করছি অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে সিএজি অফিস আগের তুলনায় এখন অনেক তৎপর।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক

আপনার জন্য নির্বাচিত