অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা যে সংস্কারের কথা বলেছিলাম, ঐকমত্য কমিশন সেটা করে দেখিয়েছে। তারা অসম্ভবকে সম্ভব করেছে, জাতি অভিভূত। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি গর্বিত যে, বাংলাদেশে এরকম একটি কাজ হয়েছে এবং আমি এর অংশ হতে পেরেছি।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তিনি একই কথা বলেন।
বৈঠকে অংশ নেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলন, জেএসডি (রব), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, এবি পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যে দলিলগুলো কমিশন তৈরি করেছে তা হারিয়ে যাবে না। সবাই যেন জানতে পারে কীভাবে, কী দলিল তৈরি হয়েছে। এগুলো সংক্ষেপে জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে।
জুলাইকে একটা অধ্যায়ের শেষ এবং আরেকটা নতুন অধ্যায়ের সূচনা মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই সনদ তারই অংশ। ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবেই এবং তা হবে উৎসবমুখর।
ড. ইউনূস বলেন, নির্বাচন ও দৈনন্দিন কাজের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হবে এটাই আমাদের আশা। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সনদ সইয়ের মাধ্যমে তারই সূচনা হবে। কেউ আশা করেনি সনদ হবে, কিন্তু সেটা সম্ভব হয়েছে, সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। শুক্রবার উৎসবের মাধ্যমে আমরা সনদ সই করবো।
এর আগে জুলাই জাতীয় সনদ সই অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ধ্যার বৈঠকে কমিশনের পক্ষ থেকে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ, কমিশন সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
পাশাপাশি, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার মূখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
















