ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯০ হাজার থেকে এক লাখ সেনা দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। এছাড়া পুলিশ দেড় লাখ ও সাড়ে পাঁচ লাখ আনসার দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি জানান, ভোটের আগে ও পরে মিলিয়ে সেনাবাহিনীকে পাঁচ দিনের ডেপ্লয়মেন্টের জায়গায় আট দিন করার প্রস্তাব এসেছে। তবে বাজেট নিয়ে এখনও কোনো কথা আসেনি, যদিও এটি বড় বিষয়।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সকারে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভোটকেন্দ্র ও নির্বাচনী এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আলোচনায় তিনি এই কথা জানান।
এসময় ভোটকেন্দ্র, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা, মাঠ পর্যায়ে যারা কাজ করবেন তাদের সমন্বয়, অবৈধ অস্ত্র রোধ, বৈধ অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, এআই অপব্যবহার রোধ, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা, অনুপ্রবেশ, কালো টাকার নিয়ন্ত্রণ, দুর্গম এলাকায় নির্বাচনী সরঞ্জাম পরিবহন, গোয়েন্দা সংস্থার ভেতর সমন্বয়, ড্রোন নিষিদ্ধ করা, পুলিশের বডি ক্যামেরা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ইসি সচিব জানান, ভোটের সময় আর্মি এভিয়েশন, এয়ার ফোর্স এভিয়েশন হ্যালিপ্যাডের ব্যবস্থা করে রাখবে। সেনাবাহিনী মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। তাদের বলেছি অন্য সংস্থার সঙ্গে ইন্টিলিজেন্স শেয়ার করতে।
নির্বাচনে ড্রোনের ব্যবহার সম্পর্কে তিনি জানান, ভোটের প্রচারে ড্রোন ব্যবহার করা যাবে না। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনে ড্রোন ব্যবহার করতে পারবে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে সব বাহিনী নিজের ব্যবস্থাপনায় তাদের জনবল প্রশিক্ষণ দিচ্ছে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে সবাই অঙ্গীকারবদ্ধ।
তিনি বলেন, আমি তাদের ভেতর উদ্বেগ দেখিনি। নির্বাচন করার মতো পরিবেশ অবশ্যই আছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যোগ দেন।


















