কে কোন সম্প্রদায়ের সেটি মুখ্য নয়, সবাইকে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে উঠে দাঁড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আগামীতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে, বিএনপি রেইনবো নেশন তৈরি করবে। যেখানে সব সম্প্রদায় তাদের অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে গারো জাতিগোষ্ঠীর প্রধান সাংস্কৃতিক উৎসব ওয়ানগালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন। রাজধানীর বনানী বিদ্যানিতেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ অনুষ্ঠান উদ্যাপন করা হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশের সব সম্প্রদায়—বাঙালি, গারো বা অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী—সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ধারণা দিয়ে সব ধর্মবর্ণের মানুষকে এক পরিচয়ের বন্ধনে যুক্ত করেছেন। সেই ধারায় খালেদা জিয়া ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় পৃথক অধিদপ্তর গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। বিএনপি সরকারে এলে ঢাকায় একটি পৃথক সাংস্কৃতিক একাডেমি প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর উৎসবগুলো সরকারিভাবে পালনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তিনি তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যা ও প্রয়োজনগুলো কাছ থেকে দেখেছেন। বিশেষ করে ময়মনসিংহে গারো সম্প্রদায়ের সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি তাদের সংস্কৃতি, জীবনযাপন ও উৎপাদনশীলতা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন।
পিছিয়ে থাকা নয়, গারোদের মূলধারার সাথে এক হওয়ার চেষ্টা করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ওয়ানগালার উৎসবের আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের সভাপতি মৃগেন হাগিদক, বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কালচারাল একাডেমির পরিচালক পরাগ রিছিল বক্তব্য দেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ওয়ানগালা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি শুভজিৎ সাংমা। সভাপতিত্ব করেন ওয়াগালা উদ্যাপন ২০২৫ কমিটির সভাপতি সঞ্চয় নাফাক।

















