বুধবার , ২৯ অক্টোবর ২০২৫ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. খুলনা
  7. খেলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বাংলাদেশ
  15. বিনোদন

গভীর অবিশ্বাসে ভেস্তে গেল পাকিস্তান-আফগানিস্তান শান্তি আলোচনা

প্রতিবেদক
Newsdesk
অক্টোবর ২৯, ২০২৫ ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ

এক সময়ের মিত্র দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার বরফ সহসা গলছে না। স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে তুরস্ক ও কাতারের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে চার দিনব্যাপী আলোচনা শেষে কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি দুই দেশ। আলোচনা সফল না হওয়ার জন্য আফগানিস্তানকে দোষারোপ করেছে পাকিস্তান। তবে আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। খবর-এএফপি

আলোচনায় যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়ার পর পাকিস্তানি জনগণের সুরক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার। আজ বুধবার সামাজিক মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে বলেন, ‌‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আফগানিস্তানের দিক থেকে কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি। তারা মূল বিষয় থেকে সরে গেছে। দোষারোপ ও ছলচাতুরী করেছে। এভাবে আলোচনায় কোনো কার্যকর সমাধান পৌছানো যায়নি।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান শান্তির মনোভাব নিয়েই আফগানিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল। তিনি কাবুলকে ‘পাকিস্তানবিরোধী সন্ত্রাসীদের প্রতি অবারিত সমর্থন’ দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করে বলেন, আমরা সন্ত্রাসবাদের হুমকি থেকে আমাদের জনগণকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সম্ভাব্য ব্যবস্থা নেওয়া অব্যাহত রাখব।

৯ অক্টোবর কাবুলে বিস্ফোরণের ঘটনায় তালেবান কর্তৃপক্ষ পাকিস্তানকে দায়ী করে। এরপরই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক সীমান্ত সংঘাত শুরু হয়। তালেবানের দাবি, কাবুলে পাকিস্তান বিমান হামলা চালায়। এর জবাবে সীমান্তে গুলি ছোঁড়া হয়। আর পাকিস্তানের দাবি, তালেবান বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালিয়েছে। ফলে সেনারাও পাল্টা জবাব দিতে বাধ্য হয়।

প্রাথমিকভাবে ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর, ১৯ অক্টোবর দোহায় আলোচনার মাধ্যমে দ্বিতীয় দফায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। পরে শান্তিচুক্তিতে পৌঁছাতে ইস্তাম্বুলে আলোচনার আয়োজন করা হয়।

পাকিস্তান ও আফগান তালেবান এক সময় যৌথ নিরাপত্তা স্বার্থের কারণে মিত্র ছিল। এখন ইসলামাবাদের অভিযোগের কারণে দুই পক্ষ শত্রুভাবাপন্ন হয়ে উঠেছে। ইসলামাবাদভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের তথ্যমতে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে দুই দেশের সংঘাতে অন্তত দুই হাজার ৪১৪ জন নিহত হয়েছে। গত বছর সীমান্ত সংঘাতে উভয় পক্ষের দুই হাজার ৫৪৬ জন নিহত হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে সীমান্তে হামলা বেড়েছে। তা ছাড়া পাকিস্তান আফগান শরণার্থীদের বিতাড়িত করার পর থেকে টিটিপি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। কয়েক দশকের সংঘাত থেকে পালিয়ে অন্তত ৩০ লাখ আফগান শরণার্থী এখন পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছে।

ইসলামাবাদের অভিযোগ, আফগানিস্তান পাকিস্তানবিরোধী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দেয়। এই জঙ্গিরা পাকিস্তানে ঢুকে হামলা চালায়

সর্বশেষ - আইন-আদালত