গুমের শিকার নিখোঁজদের মধ্যে কয়েকজনের বিষয়ে সুরাহা করতে পেরেছে গুম কমিশন। তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে গুমের শিকার ওই ব্যক্তিদের সাথে কী হয়েছে তা উল্লেখ করা হবে। কমিশনের সদস্য নুর খান লিটন জানান, বেশিরভাগ অভিযোগের তদন্ত করা সম্ভব হয়নি। আর অনেক নিখোঁজদের তথ্য মেলেনি এখনও। এ নিয়ে হতাশা জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে অসংখ্য বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, ব্যবসায়ীকে গুম করার অভিযোগ আছে কয়েকটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও তাদের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
গুমের শিকার অনেকেই ফিরে এসেছেন নানা সময়ে। তবে অন্তত সাড়ে তিনশ’র মতো মানুষ আর ফেরেননি। ফিরে আসাদের সাথে কী হয়েছে এবং এসব গুমের পেছনে জড়িতসহ কারণ বের করতে গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনক্যুয়ারি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। যেখানে অভিযোগ জমা হয় আঠারোশ’র বেশি। আর আশায় বুক বাধেন নিখোঁজদের স্বজনরা।
এরইমধ্যে কমিশন দুইটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করেছে জড়িত ব্যক্তিদেরও। কমিশনের মেয়াদ শেষদিকে হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে, গুমের শিকার নিখোঁজদের সন্ধান নিয়ে।
হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ আজহানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ আজ
কেনিয়ার ভূমিধসে ২১ জনের প্রাণহানি, নিখোঁজ ৩০কেনিয়ার ভূমিধসে ২১ জনের প্রাণহানি, নিখোঁজ ৩০
নিখোঁজ কয়েকজনের বিষয়ে সুরাহা করা গেছে বলে জানিয়েছে গুম কমিশন। কমিশনের সদস্য মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন একাত্তরকে জানান, চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সেসব বিষয় উল্লেখ করা হবে।
তবে বাকিদের কোনো তথ্য মেলেনি বলে জানান তিনি। আর সব অভিযোগ এই সময়ে তদন্ত করা সম্ভব হবে না বলেও জানান নূর খান লিটন।
কমিশনের এমন সিদ্ধান্তে হতাশা জানিয়েছে গুম নিয়ে কাজ করা সংগঠন মায়ের ডাক। আবারও প্রতিটি নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানের দাবি জানান তারা।
মায়ের ডাকের সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম তুলি জানান, নিখোঁজদের সন্ধান না দিতে পারলে তাদের আন্দোলন চলবে।


















