দলের ভেতর তীব্র ক্ষোভ প্রশ্ন উঠেছে নেতৃত্বের যোগ্যতা ও আদর্শ নিয়ে
– *বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামসহ ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে বিএনপি যখন বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরের পুত্র ববি হাজ্জাজকে মনোনয়নের চিন্তা করছে তখন গোটা দলে নেমে এসেছে ক্ষোভের ঝড়। এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই বলছেন, *বিএনপির আদর্শের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।*
– রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ উপেক্ষা করে রাজাকারের পরিবারের সন্তানকে প্রাধান্য দেওয়া শুধু নৈতিকতার পরাজয় নয়, বরং দলের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের যোগ্যতা নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তুলছে।
*ববি হাজ্জাজ কে?*
– ববি হাজ্জাজ, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও *জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ. এম. এরশাদের সাবেক মুখপাত্র।* তিনি এরশাদের রিসার্চ অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক উইংয়ের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। বিলেতফেরত এই তরুণ নিজেকে আধুনিক রাজনীতিবিদ হিসেবে তুলে ধরলেও তার পারিবারিক ইতিহাস ঘিরে রয়েছে গভীর বিতর্ক। তার পিতা মুসা বিন শমসের এক সময়ের বিতর্কিত অস্ত্র ব্যবসায়ী ও কথিত ধনকুবের। ফরিদপুরের মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করেন, *একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতা করেছিলেন তিনি।* স্থানীয়রা তাকে *রাজাকার নুলা মুসা” নামেই চিনতেন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের বড় ছেলের সঙ্গে ববি হাজ্জাজের ছোট বোন ন্যান্সির বিয়ে হয়েছে।*
> “যে দলে মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে রাজাকারের পুত্র মনোনয়ন পায়, সে দল কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রের কথা বলে?”
– তৃণমূল পর্যায়েও ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন বিএনপি যদি মনোনয়ন দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তেই এমন অসাবধানতা ও পক্ষপাতমূলক মনোভাব দেখায়, তাহলে তারা কীভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিতে পারে?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন,
> “মনোনয়ন রাজনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। এখানে ভুলের সুযোগ নেই। যেখানে যোগ্যতা ও সততার বদলে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও মনোরঞ্জন প্রাধান্য পাচ্ছে, সেখানেই দলের নেতৃত্বের দুর্বলতা স্পষ্ট।”
– বিএনপির এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আবারও প্রশ্ন জেগেছে মুক্তিযোদ্ধাদের অবমূল্যায়ন করে রাজাকারের পরিবারের সন্তানকে প্রাধান্য দিলে বিএনপির ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে কতটা বিশ্বাসযোগ্যতা থাকবে?
– *জাতি আজ জানতে চায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা যখন উপেক্ষিত, তখন রাজাকারের পুত্রের হাতে বিএনপির মনোনয়ন কেন?*


















