ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আবারও বড় ধরনের ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। মালগাড়ির সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, আহত বহু। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনাস্থলে চলছে সাঁড়াশি উদ্ধার অভিযান।
ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরে। কীভাবে দুর্ঘটনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার ছত্তিশগড়ের বিলাসপুর জেলার বিলাসপুর-কাটনি সেকশনের লাল খাদান এলাকার কাছে একটি যাত্রীবাহী কোরবা ট্রেনের সাথে একটি মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই ছিল যে যাত্রীবাহী ট্রেনের সামনের বগিগুলি সম্পূর্ণ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। বিলাসপুরের পুলিশ সুপার রজনীশ সিং নিশ্চিত করেছেন , দুর্ঘটনায় ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, উদ্ধার অভিযান চলছে। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, যাত্রীবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন এবং সামনের বগিগুলো ভেঙে পড়েছে এবং উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের উদ্ধারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
রেলওয়ে কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন এবং জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনী (এনডিআরএফ) এর সমন্বয়ে গঠিত উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
নিরাপদে উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। মেডিকেল টিম এবং অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন করা হয়েছে, ট্রেনের ভেতরেই গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা কাজ করছেন, কারণ ধ্বংসস্তূপ দ্রুত সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
সংঘর্ষের ফলে ওভারহেড বৈদ্যুতিক তার এবং সিগন্যালিং সিস্টেমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, যার ফলে পুরো রুটে রেল চলাচল ব্যাহত হয়েছে। বেশ কয়েকটি এক্সপ্রেস এবং যাত্রীবাহী ট্রেন বাতিল বা ডাইভার্ট করা হয়েছে এবং আটকে পড়া যাত্রীদের জন্য বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কারিগরি দলগুলো রাতভর লাইন পুনরুদ্ধার এবং বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা মেরামতের জন্য কাজ করছে। রেলওয়ে কর্মকর্তারা দুর্ঘটনার কারণ নির্ধারণের জন্য তদন্ত শুরু করেছেন। প্রাথমিক প্রতিবেদনে সিগন্যালিং ব্যর্থতা বা মানবিক ত্রুটির সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।




















