ভারতের রাজধানী দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লা এলাকায় একটি গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ওই বিস্ফোরণের ফলে আশপাশের আরও কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরে গেছে। এতে বহু লেক আহত হলেও এখন কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ বলছে, এটি অত্যন্ত শক্তিশালী বিস্ফোরণ। খবর এনডিটিভিসহ একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমের।
সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের গেট নম্বর ১-এর কাছে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনাস্থলে দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ২০টিরও বেশি ফায়ার টেন্ডার পাঠানো হয়েছে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ চলছে। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল দ্রুত স্থানটি অবরুদ্ধ করে এলাকায় নিরাপত্তা বাড়িয়েছে এবং পুরানি দিল্লি অঞ্চলে যানজট এড়াতে ট্রাফিক ডাইভারশন করা হয়েছে। বিস্ফোরণের কারণ এখনও অজানা, তবে কর্মকর্তারা এটিকে সন্দেহজনক বলে মনে করছেন এবং এটি যে কোনো সন্ত্রাসী হামলা নয়, তাও এখন নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রাজধানী জুড়ে জারি করা হয়েছে উচ্চ সতর্কতা।
এনডিটিভি জানায়, সন্ধ্যা সময় লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং কাছাকাছি তিন-চারটি যানবাহনকে আগুনে ঢেলে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুসারে, বিস্ফোরণের শব্দ এতো তীব্র ছিলো যে এটি ভূমিকম্পের মতো অনুভূত হয়। কাছাকাছি দোকানের কাঁচ ভেঙে পড়ে এবং সংলগ্ন মার্কেট এলাকায়ও আগুন ছড়ানোর শঙ্কা দেখা দেয়। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিস্ফোরণের শব্দ এতো জোরালো ছিলো যে, মনে হলো মাটি কাঁপছে।
একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, আগুনের লেলিহান শিখা এবং ধোঁয়ায় আকীর্ণ স্থানটিতে জনতা আতঙ্কিত হয়ে ছুটোছুটি করছেন। দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা জানান, লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের গেট নম্বর ১-এর কাছে গাড়িতে বিস্ফোরণের কল পেয়ে দল পাঠানো হয়েছে। কাছাকাছি যানবাহনগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বহু লোক আহত হয়েছে এবং তাদের লোক নাইনজু হাসপাতালসহ স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। কিছু প্রতিবেদনে একজনের মৃত্যুর আশঙ্কা প্রকাশ করা হলেও এটি এখনও নিশ্চিত হয়নি।
রয়টার্স এবং দ্য হিন্দুর মতো আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো নিশ্চিত করেছে যে, আহতের সংখ্যা ‘বহু’ কিন্তু মৃত্যুর খবর নেই।
দিল্লি পুলিশ এলাকা অবরুদ্ধ করে তদন্ত শুরু করেছে এবং বিস্ফোরণের কারণ নির্ণয়ের জন্য ফরেনসিক টিম পাঠানো হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, এটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হতে পারে বা ইচ্ছাকৃত হতে পারে। কিন্তু কোনো সন্ত্রাসী লিঙ্ক এখনও নিশ্চিত হয়নি।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। এছাড়া, রাজধানীর অন্য অংশে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

















