বৃহস্পতিবার , ১৩ নভেম্বর ২০২৫ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. খুলনা
  7. খেলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বাংলাদেশ
  15. বিনোদন

উপদেষ্টা-প্রভাবের লেনদেনে সিভিল প্রশাসন দুর্বল মেট্রিক পাশকেও পিএইচডি বলা হচ্ছে!

প্রতিবেদক
Newsdesk
নভেম্বর ১৩, ২০২৫ ৩:৪৪ অপরাহ্ণ

সালাহউদ্দিন আহমেদ: দেশের অর্থ লুট ও প্রশাসন দুর্বল করার পরিকল্পনা *উপদেষ্টা ও প্রভাবশালীদের অদক্ষ নিয়োগ এবং পদোন্নতি কৌশল*

অর্থ লুট, অদক্ষ প্রশাসন ও প্রভাবশালীদের পদক্ষেপ দেশের সুশাসন এখন বিপর্যয়ের মুখে।

*সিভিল প্রশাসনে চলমান দুর্নীতি* এবং স্বচ্ছতার অভাবে দেশের প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ওপর বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি হয়েছে। উপদেষ্টা ও প্রভাবশালী কর্মকর্তারা নিজেদের স্বার্থে সরকারি তহবিল খালি করার “advance project” গ্রহণ করেছেন। একই সঙ্গে প্রশাসনকে অদক্ষ করে দেওয়া হচ্ছে, যাতে পরবর্তী সরকারও কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে না পারে।

*মেট্রিক পাশ প্রার্থীদেরও পিএইচডি উচ্চ শিক্ষার মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে*, যা নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও যোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

অর্থ লুট ও পরিকল্পিত খরচ উচ্চ পদস্থ *উপদেষ্টা ও প্রভাবশালী কর্মকর্তারা সরকারি তহবিল শূন্য করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।* এই “advance project” এর উদ্দেশ্য হলো, *দেশের তহবিল খালি করে পরবর্তী সরকারকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলা।* এর ফলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

সিভিল প্রশাসনকে অদক্ষ করার কৌশল *৩/৪ প্রমোশন বা পদোন্নতির মাধ্যমে অদক্ষ ও অনভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হচ্ছে।*

এই পদক্ষেপ প্রশাসনের কার্যকারিতা হ্রাস করছে, জনসেবা দুর্বল করছে এবং নিয়মিত প্রশাসনিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে। পদোন্নতির এই কৌশল মূলত প্রশাসনকে দীর্ঘমেয়াদে দুর্বল করার পরিকল্পিত কৌশল।

এম্বেসেডর বা বিদেশি পদে স্থানান্তর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের বিদেশি “এম্বেসেডর” পদে পাঠানো হচ্ছে একটি exit mechanism হিসেবে। এর ফলে অভ্যন্তরীণ প্রশাসনের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা কমে যাচ্ছে এবং *প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।*

দুর্নীতি ও প্রভাবশালীদের *লেনদেন অর্থ ও প্রভাব ব্যবহার করে অদক্ষ প্রার্থীদের নিয়োগ* ও পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। এই ধরনের কর্মকাণ্ড দুর্নীতি দমন আইন ২০০৪ এবং *সরকারি নিয়োগ আইন উভয়ই লঙ্ঘন করে।*

সিভিল সার্ভিস নিয়োগ আইন ২০১৮ অনুযায়ী, সরকারি চাকরিতে নিয়োগ এবং পদোন্নতি প্রক্রিয়ায় প্রার্থীর যোগ্যতা, পরীক্ষার ফলাফল ও দক্ষতা বাধ্যতামূলক। উপদেষ্টা ও *প্রভাবশালীদের প্রভাব ব্যবহার করে অদক্ষ প্রার্থীদের নিয়োগ আইন লঙ্ঘন।*

দুর্নীতি দমন আইন ২০০৪ অনুযায়ী, সরকারি তহবিলের অবৈধ ব্যবহার এবং *প্রভাবশালী লেনদেন শাস্তিযোগ্য অপরাধ।*

নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও সরকারি চাকরিতে স্বচ্ছতার মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, যা *বাংলাদেশ সংবিধান ধারা ৩৫ ও ৩৬ লঙ্ঘনের সমান।*

এই ধরনের পরিকল্পিত পদক্ষেপ শুধু প্রশাসনকে দুর্বল করছে না, দেশের অর্থনীতি, সুশাসন ও জনসেবার ওপরও বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বতন্ত্র তদন্ত কমিশন গঠন করে *উপদেষ্টা ও প্রভাবশালীদের নিয়োগ, পদোন্নতি এবং তহবিল ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করা আবশ্যক।*

দেশের অর্থ লুট এবং অদক্ষ প্রশাসনের মাধ্যমে সুশাসন দুর্বল করা হচ্ছে। পরবর্তী সরকারও কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে পারবে না যদি এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে। অবিলম্বে আইনি পদক্ষেপ, স্বচ্ছ নিয়োগ ও পদোন্নতি প্রক্রিয়া এবং অর্থ ব্যবস্থার ওপর কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।

সর্বশেষ - আইন-আদালত

আপনার জন্য নির্বাচিত