বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় ওয়াশিংটনের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তজা। তিনি বলেছে, দুই পক্ষের সম্মতিতে চুক্তির সব বিষয় সামনে আসলে ধোঁয়াশা কেটে যাবে।
শুল্ক আলোচনায় বাংলাদেশ অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে ভালো করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ফলে আগামীতে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারিত হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী গোলাম মোর্তোজা।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর নতুন শুল্কনীতি ঘোষণা করে। দেশটির বাজারে পণ্য প্রবেশ করতে কোন দেশ কতো শতাংশ শুল্ক দিবে, তা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন দেয় হোয়াইট হাউস। যদিও আলোচনার জন্য সময় রাখা হয়েছিলো।
ভারতকে ৫৩ শতাংশ, চায়নাকে ৫৫ ও ভিয়েতনামকে ২০ শতাংশ শুল্ক বেধে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে ফলপ্রসূ দীর্ঘ আলোচনার পর ২০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়। যা দেশের তৈরি পোশাকখাতে ব্যাপক আশার সঞ্চার করে।
তবে যেই চুক্তির প্রেক্ষিতে এক লাফে প্রায় ১৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, সেসব বিষয়ে প্রকাশ্যে না আনার শর্ত জুড়ে দেয়া হয়। এতে জনগণের সন্দেহ তৈরি হয় এবং দেশের স্বার্থ বিরোধী চুক্তি হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করেন কেউ কেউ।
কিন্তু বাস্তবে এমন কিছুই ঘটেনি উল্লেখ করে গোলাম মোর্তজা বলেন, দেশের স্বার্থ শতভাগ বজায় রেখে এই চুক্তি হয়েছে।
চুক্তির মধ্যে কি সামরিক কোনো বিষয় আছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে গোলাম মোর্তজা বলেন, দেশটি থেকে যুদ্ধবিমান কিনতে পারে বাংলাদেশ। কিন্তু দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেয়ার প্রশ্নই আসে না।
এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানিখাত অনন্য উচ্চতায় পৌঁছানোর ব্যাপারেও আশাবাদী তিনি।


















