নির্বাচন কমিশন (ইসি) ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে নিয়ে রেখেছে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেন, নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে- এই ধারণা আগে থেকেই পরিষ্কার ছিলো, তাই কমিশন মানসিক প্রস্তুতি এবং প্রাথমিক কাজগুলো আগেই সম্পন্ন করেছে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সচিব এসব কথা বলেন।
গণভোটের অধ্যাদেশ জারি হওয়ার পর কমিশনের প্রস্তুতি কোন পর্যায়ে জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, দায়িত্বের আভাস পেলেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করা হয়। আপনি যদি ভাবেন যে একটা দায়িত্ব আপনার ওপর আসতে যাচ্ছে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই মানসিক প্রস্তুতি থাকে। আমাদেরও সেই প্রস্তুতি ছিলো। পাশাপাশি আমরা আগাম কাজও শুরু করে দিয়েছিলাম।
তিনি জানান, আগামী শনিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ মক ভোটিং আয়োজন করা হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট-উভয় প্রক্রিয়া একই কেন্দ্রে একসঙ্গে পরিচালনার অনুশীলন হিসেবে এই মক ভোটিং করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, একই দিনে দুই ধরনের ভোট পরিচালনা করতে গেলে কিছু সমন্বয় প্রয়োজন হতে পারে। সেই বাস্তবতা যাচাই করতেই আমরা এই রিহার্সালের আয়োজন করেছি।
তিনি আরও বলেন, মক ভোটিংয়ের মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখা হবে- কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন হবে কি না, ভোটকক্ষের সংখ্যা বাড়বে বা কমবে কি না, ভোটার ব্যবস্থাপনা কীভাবে সমন্বয় করা যাবে, দুই ধরনের ব্যালট ব্যবস্থাপনা একসঙ্গে করতে কতটুকু সময় লাগবে এবং সামগ্রিকভাবে কেন্দ্র পরিচালনায় কী ধরনের সমন্বয় প্রয়োজন হবে।
‘আমরা চাই পুরো প্রক্রিয়াটা নিখুঁতভাবে পরিচালনা করতে। একটি সফল রিহার্সাল থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা পরবর্তী সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’ উল্লেখ করে করে তিনি সাংবাদিকদেরও ওই রিহার্সাল কভার করার আমন্ত্রণ জানান।
ইসি সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ ও তথ্য) মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, ২৯ নভেম্বর সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সকল শ্রেণির ভোটারের অংশগ্রহণে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে মক ভোটিং অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে তিনি জানান।


















