রাজধানী ঢাকায় ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল গাজীপুরের টঙ্গী থেকে ৩৩ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরপূর্বে আর নরসিংদী থেকে ৩ কিলোমিটার উত্তরে। এর গভীরতা ছিল ৩০ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা ১৪ মিনিটে এ কম্পন অনুভূত হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের তথ্যমতে, ভূমিকম্পের গভীরতা ভূপৃষ্ঠ থেকে ২৭ কিলোমিটার, উৎপত্তি টঙ্গী থেকে ২০ কিমি পূর্বে। যার মাত্রা ছিল ৪.১।
অন্যদিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, ভূমিকম্পটি হালকা মাত্রার ছিলো। সকাল ৬টা ১৪ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিলো নরসিংদীর শিবপুরে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১।
রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্র থেকে ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ছিল ৩৮ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে।
এর আগে, সোমবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকা, সিলেট, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সোমবার দিনগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে অনেকেই ভূমিকম্প অনুভব করেন।
গত ২১ নভেম্বর, শুক্রবার এবং পরদিন শনিবার প্রায় ৩১ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা ও এর আশপাশে চারবার ভূমিকম্প হয়। এর মধ্যে শুক্রবার সকালে ভূমিকম্পে দেশে ১০ জন নিহত হন। আহত হন ছয় শতাধিক মানুষ।
২৭ নভেম্বর রাজধানী ঢাকায় ভূমিকম্প হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৬। এর উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে। ওই দিনই ভোরের দিকে সিলেটে ও কক্সবাজারের টেকনাফে দুই দফা ভূকম্পন অনুভূত হয়।


















