গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধকালে স্থানীয়রা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন। পরে আরেক দফায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে হামলা চালায় তারা।
সকালে গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়া মোড়ে দেখা যায়, ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও পিরোজপুর -গোপালগঞ্জ সড়কের ঘোনাপাড়া মোড়ে কয়েক হাজার বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে। এসময় তারা বিক্ষোভ করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
পরে বিকেল ৩টার দিকে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা ও পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা ঘোনাপাড়া মোড় গিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, আগামী তিনদিনের মধ্যে ধর্ষকদের শনাক্ত করা হবে। তোমরা এবার হলে ফিরে যাও। তবে শিক্ষার্থীরা তিন ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।
পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, শিক্ষার্থীদের দেওয়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষকদের শনাক্ত করা হবে। শিক্ষার্থীরা সময় সীমা বেঁধে দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আন্দোলনকারীদের ফিরে যেতে বললে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী সহপাঠী বন্ধুর সঙ্গে গোপালগঞ্জ থেকে নবীনবাগে বিশ্ববিদ্যালয় মেসে ফিরছিলেন। এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাদের গতিরোধ করে বন্ধুকে মারধর করে করে ওই ছাত্রীকে পাশের নব নির্মিত জেলা প্রশাসন স্কুল ও কলেজ ভবনে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। রাতে ছাত্রী ধর্ষণের খবর ক্যাম্পাসে পৌঁছালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা গোপালগঞ্জ থানা ঘেরাও করে। পরে সকাল ৬টার দিকে ঘোনাপাড়ায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।
বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. কামরুজ্জামান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব সামান্য আহত হয়েছেন। এখন তিনি সুস্থ আছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান জানান, শুক্রবার সকাল ১০টায় এ বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষকরা বৈঠকে বসবেন। বৈঠকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।