নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর প্রয়াত সাংবাদিক এবং নোয়াখালী জেলা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবদুল কাদেরের বুকে বিদ্যুতের পিলার স্থাপন করেছে নোয়াখালী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, নোয়াখালী পৌরসভার জহুরুল হক মিয়া গ্যারেজের পশ্চিম পাশে প্রধান সড়কের ১৪৭ নং বাসার সামনে (সাংবাদিক কাদের সাহেবের বাসা নামেই স্থানীয়ভাবে পরিচিত ) প্রয়াত সাংবাদিক এবং দৈনিক নোয়াখালী বার্তার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক আবদুল কাদেরের পারিবারিক কবরস্থানে সবার অগোচরে দুটি বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন করে চলে যায় নোয়াখালী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের লোকজন। অথচ এর আগে উক্ত কবরস্থানের পাশের প্লাজার সামনের ২০০ ফুট সরকারি জায়গায় এই দুটি খুঁটি স্থাপনের জন্য গর্তও করা হয়েছিল। কিন্তু রহস্যজনক কারণে পরে তা সরিয়ে ১০ ফুটের কবরস্থানে স্থাপন করে পিডিবি। উল্লেখযোগ্য, উক্ত কবরস্থানটি ১৯৫৫ সালের দিকে তৈরী করেন প্রয়াত সাংবাদিক কাদেরের পিতা মাইজদী শহরের ব্যবসায়ী প্রয়াত আব্দুর রব ডিলার। মাইজদী শহরের সবচাইতে পুরোনো কবরের মধ্যে এই কবরটি অন্যতম যা দেশ স্বাধীনের আগে তৈরী করা হয়। খুঁটি দুটি স্থাপনের বিষয়ে জানতে পেরে প্রয়াত সাংবাদিক আবদুল কাদেরের বড় মেয়ে রাবেয়া ফেরদাউস পপি গত ৩০ ডিসেম্বর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নোয়াখালী পিডিবিতে। তার দাবি ছিল পারিবারিক কবরস্থান থেকে খুঁটি দুটি সরিয়ে পাশ্ববর্তী আরাফ ফার্নিচার প্লাজার সামনের ২০০ ফুট সরকারি খালি জায়গায় স্থাপন করার বিষয়ে।
প্রয়াত সাংবাদিক আবদুল কাদেরের ছোট ছেলে প্রবাসী আহাদ আমাদের জানান,আমাদের কবরের পাশে একটু ডান দিকে আরাফ ফার্নিচার নামক দোকানটি যে প্লাজাতে অবস্থিত, সেই প্লাজার সৌন্দর্য রক্ষার্থে পূর্বের ড্রয়িং অনুযায়ী ট্রান্সফরমার উক্ত স্থানে না বসিয়ে আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে পিডিবির সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার রফিক ও পিডিবির আরো কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে সত্তর বছরের পুরোনো আমাদের এই পারিবারিক কবরের সামনে খুঁটি দুটি স্থাপন করা হয়েছে যা পুরোপুরি অনৈতিক। নিয়ম মেনে আমরা খুঁটি দুটি সরানোর জন্য লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর নোয়াখালী পিডিবির লোকজন বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ার রফিক নানারকম তালবাহানা শুরু করে এবং আমার বড় বোনের সাথে অশোভন আচরণ করে। আমাদের পারিবারিক কবরস্থানের জায়গাতে কিছু করার আগে নোয়াখালী পিডিবি আমাদের সাথে কোন প্রকার পরামর্শ করেনি বলেও অভিযোগ করেন জনাব আহাদ।
তিনি আরো বলেন, দেশ স্বাধীনের এতগুলো বছরে আমাদের পারিবারিক কবরস্থান নিয়ে কোনো প্রকার ঝামেলা পোহাতে হয়নি। কিন্তু পিডিবি নোয়াখালীর এহেন কর্মকান্ডের কারণে প্রায় সত্তর বছরের পুরোনো এই কবরস্থানের সম্মাান হানি হয়েছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, বর্তমানে আরাফ ফানির্চারের প্লাজার সামনে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার আছে যা অনেক বছর আগেই বসানো হয়েছে এবং এই ট্রান্সফরমার থেকে বরাবর ঠিক পেছনে নতুন একটি খুঁটি বসানো হয়েছে যার পাশে আরো একটি গর্ত রয়েছে সেটি সময়ের সাথে সাথে কিছুটা মিশে গিয়েছে। জানা যায় যে, এই গর্তটি মূলত করা হয়েছিল আরো একটি খুঁটি স্থাপন করে ট্রান্সফরমারটিকে এখানে সরিয়ে নিয়ে আসার জন্য। কিন্তুু খুঁটি সেই গর্তে না স্থাপন করে তা বস্তা দিয়ে ডেকে রাখা হয়েছে । স্থানীয়ভাবে জানা যায় যে, রহস্যজনকভাবে প্লাজার সামনে গর্ত করার পরও খুঁটি দুটি কবরের উপর স্থাপন করেছে নোয়াখালী পিডিবি। প্লাজার সামনের ২০০ ফুট সরকারি জায়গা খালি রেখে একটি পুরোনো ১০ ফুটের পারিবারিক কবরস্থানকে কেন টার্গেট করা হয়েছে সে বিষয়টি এখানেই পরিস্কার হয়ে যায় এবং এটার পেছনে অর্থনৈতিক লেনদেন জড়িত তা বোঝার আর বাকি থাকে না। বিষয়টি নিয়ে নিন্দা এবং তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন এলাকার কয়েকজন বয়স্ক এলাকাবাসীও।
সাংবাদিক পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, নোয়াখালী পৌরসভাধীন প্রধান সড়ক ও বিভিন্ন ওয়ার্ডে বড় স্থাপনার সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপনে পিডিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রভাব খাটিয়ে এবং কবরস্থানে পাশে অবস্থিত মার্কেটের মালিক পক্ষ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমত কাজে ড্রয়িং পরিবর্তন করে অর্থ আদায় করছেন যা নতুন কিছু নয় । সরজমিনে গিয়ে জানা যায় যে, মাইজদী শহরের বিভিন্ন বড় বড় স্থাপনার সামনে বিদ্যুতের পিলার ও ট্রান্সফরমারের খুটি স্থাপন করা নিয়ে অনেক আগেই থেকেই নানা অভিযোগ রয়েছে নোয়াখালী পিডিবির বিরুদ্ধে। মূলত মাইজদী পিডিবির একটি চক্র রয়েছে এবং যে সকল ভবন মালিকপক্ষ তাদের সাথে অর্থনৈতিকভাবে লেনদেন করেনি,সেই সব ভবনের সামনে জোর করে তারা খুটি রেখে দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও সে সকল ভবন মালিকপক্ষ নিকট থেকে তারা অর্থনৈতিকভাবে সুবিধা পেয়েছে সেই সকল ভবনের সামনে থেকে খুটি সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র কাজ করে যাচ্ছে তারা। এই বিষয়গুলো নিয়ে বিগত বছরের নভেম্বর মাসে মাইজদী শহরে সাধারণ মানুষজন একটি মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করেছিলেন যা দেশের প্রায় বেশ কয়েকটি গুরুতূপূর্ণ পোর্টালে এসেছিলো।
গত ২২ ফেব্রুয়ারী তারিখে দ্বিতীয় ধফায় কবরস্থান থেকে খুঁটি দুটি সরিয়ে নিতে নোয়াখালী পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আমিনের সাথে সরাসরি দেখা করে দরখাস্ত দেন সাংবাদিক পরিবারের ছোট মেয়ে ফাতেমা যিনি ঢাকায় থাকেন।
সাংবাদিকের পরিবার ছাড়াও মাইজদীর সচেতন সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের নোয়াখালী শাখা থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, পিডিবির চেয়ারম্যান,নোয়াখালীর নারী সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা খানম এবং নোয়াখালী জেলা প্রশাসক বরাবর স্নারকলিপি জমা দেয়া হয় গত ফেব্রুয়ারী ১৩ তারিখে। উক্ত স্মারকলিপির পেশ করার পর গুরুত্বপূর্ণ মহল থেকে বিশেষ করে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের পিএস এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রনালয়ের সচিব পর্যায় থেকে ফোন করে সাংবাদিকের কবর থেকে পিলার দুটি অতিসত্তর সরিয়ে নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয় নোয়াখালীর পিডিবিকে । কিন্তু চোর না শুনে ধর্মের কাহিনি। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ফোন করে নির্দেশ দেয়ার পরও নোয়াখালী পিডিবির চোখ খোলেনি বরং এই বিষয়টি নিয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা নানা রকমের টালবাহানা দেখানো শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা, কল পাবার বিষয়টি পর্যন্ত অস্বীকার করার চেষ্টা করেন।
নোয়াখালী পিডিবি’তে দীর্ঘদিন কর্মরত সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মামুনের নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান,আরাফ ফার্নিচার প্লাজার সামনে ট্রান্সফরমার বসানোর যে ড্রইং রয়েছে সেটি আমার সময়েই তৈরী করা এবং আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে প্লাজার সামনে পিলার দুটি স্থাপন করে ট্রান্সফরমার বসিয়েছি। প্লাজার মালিক রুবেল সে সময়েও অনেক রকম চেষ্টা করেছিল আমাদের প্ররোচিত করতে কিন্তু আমরা নিজেদের অবস্থানে অনড় ছিলাম। এছাড়াও তিনি বলেন, সাংবাদিক কাদের সাহেবের পারিবারিক কবরে পিলার দুটি বসানোর বিষয়টি পুরোপুরিই রহস্যজনক কারণ রাস্তা বড় করলেও পিলার দুটি এবং ট্রান্সফরমারের অবস্থান প্লাজার ঠিক সামনেই হবে কারণ সামনের বিশাল জায়গাটি পুরোপুরি সরকারি জায়গা। আর কবরস্থানটি পারিবারিক ও সাংবাদিক পরিবারের নিজস্ব ভূমিতে স্থাপিত, যা পূর্বে সকল কাগজপত্র প্রমাণাদিসহ দেখেই আমরা কাজ করেছি। তিনি আরো বলেন যে, যে কোনো পরিস্থিতিতেই কবরের সামনে কিংবা কবরের সীমানায় বিদ্যুতের কোনো পিলার এমনকি ট্রান্সফরমার বসানোর সুযোগ নেই।
এই বিষয়টি নিয়ে নোয়াখালী পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আমিন জানান, খুঁটি স্থাপনের পর দুটি দরখাস্ত করা হয়েছে। সর্বশেষ দরখাস্তটি করেছেন সাংবাদিক পরিবারের ছোট মেয়ে ফাতেমা। তিনি গত ২২ ফেব্রুয়ারী তারিখে আমার সাথে সরাসরি দেখা করেছেন নোয়াখালী পিডিবি অফিসে। এছাড়াও উনার সাথে ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের নোয়াখালী শাখার সভাপতি সাংবাদিক কামাল। উনার সাথে আলাপকালে আমি সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার রফিককে কল করে বলেছিলাম সাংবাদিক পরিবারের সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে পিলার দুটি সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি দেখতে কন্ফার্ম করতে। তিনি আরো বলেন, পিলার দুটি বসানোর সময়ে বেলাল নামক এক লোক থেকে তারা সম্মতি নিয়েছেন। এই বিষয়ে সাংবাদিক পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, বেলাল নামে এলাকায় একজন উম্মাদ ব্যক্তি রয়েছে যিনি মূলত বিদেশ ফেরত। এলাকায় এই ধরণের কাজগুলো করেই সে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা করে। আর পিডিবি নোয়াখালী থেকে এক বার বলা হচ্ছে সরকারি জায়গায় পিলার বসানো হয়েছে। আবার বলা হচ্ছে তারা কবরের মালিক থেকে সম্মতি নিয়েছেন। তাহলে প্রশ্ন হলো –
১। কবরে আমাদের মা, বাবা, বোন শায়িত আছেন। অন্যের মালিকানাধীন কবর হলে আমাদের আপনজনকে এখানে কিভাবে কবর দিতে পারলাম আমরা ?
২। আর সরকারি জায়গার মালিক তো সরকার। ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গার মালিক ব্যক্তি। তাহলে পিডিবি নোয়াখালী আসলে কি বোঝাতে চাইছেন যে সরকারি মালিকানাধীন জায়গার খুঁটি বসাতে তারা ব্যক্তি মালিকের থেকে সম্মতি নিয়েছেন ? বিষয়টি তো তাহলে মোটেও সঠিক নয়।
বিষয় হচ্ছে কবরস্থানটি আমাদের পারিবারিক এবং এক্ষেত্রে মালিকানা আমাদের।
সাংবাদিক পরিবার আরো জানান যে , ছোট বোন দেখা গত ফেব্রুয়ারি ২২ তারিখে দেখা করার পর নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আমিন ঘটনাস্থলে যাবার জন্য নির্দেশ দেন সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার রফিককে। কিন্তু রফিককে বার বার আমরা কল দেয়ার পর সে নানা রকম ব্যস্ততা দেখায়। সর্বশেষ তিন দিন পর রফিক বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির নোয়াখালী শাখার সভাপতি সাংবাদিক কামাল সাহেবের সাথে দেখা করে তারপর ঘটনাস্থলে যান। ঘটনাস্থলে যাবার পর তিনি আবারও নানা রকম বাহানা দিতে শুরু করেন। এমন অবস্থায়, বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক পরিবার নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আমিনের সাথে পুনরায় যোগাযোগ করলে তিনি বলেন যে পিলার দুটি সরিয়ে নেয়ার জন্য সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার রফিককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আপনারা তার সাথে যোগাযোগ করুন। তারপর প্রায় দুই সপ্তাহ অতিক্রান্ত হবার পর সাংবাদিক পরিবার আবারও নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আমিনের সাথে যোগাযোগ করেন কিন্তু এই বার নুরুল আমিন তার সুর বদলে ফেলেন এবং বলেন দেখি পিলার সরানো যায় কিনা। পরে সাংবাদিক পরিবার থেকে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার রফিককে কল করা হলে রফিক তাদের নানা রকম কথা বলে বিষয়টি অন্যদিকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এমন অবস্থায় সাংবাদিক পরিবার খুবই অসহায় বোধ করছে। সাংবাদিক পরিবার থেকে জানানো হয়েছে যে, সরকারি ২০০ ফুটের জায়গা খালি রেখে কেন আমাদের ১০ ফুটের পারিবারিক কবরস্থানকে টার্গেট করা হয়েছে এবং কেন নোয়াখালী পিডিবি থেকে নানা রকম কথা বলা হচ্ছে এই বিষয়গুলো পরিস্কার নয়। কারণ এখানে বিষয়টি খুবই সাধারণ আমাদের ১০ ফুটের পারিবারিক কবরস্থান থেকে পিডিবি পিলার দুটি সরিয়ে নিয়ে প্লাজার সামনের ২০০ ফুটের জায়গায় বসাবে। কিন্তু প্লাজার সামনের ২০০ ফুটের সরকারি জায়গাকে খালি রেখে নোয়াখালী পিডিবির এমন আচরণকে সন্দেহজনক এবং সরকারকে ফাঁকি দেয়ার কৌশল বলে উল্লেখ করেছেন এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগন এবং সাংবাদিকের পরিবার।
বিষয়গুলো নিয়ে আমরা যোগাযোগ করেছিলাম পিডিবি নোয়াখালীর তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী ফিরোজ কবির, নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আমিন এবং সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার রফিকের সাথে। কিন্তু নুরুল আমিন এবং রফিক আমাদের সাথে কোনো কথা বলেন নি। পরবর্তীতে আমরা যোগাযোগ করেছিলাম ফিরোজ কবিরের সাথে যিনি আমাদের সাথে এক পর্যায়ে চড়াও হন। বিষয়গুলো নিয়ে তিনি খোলামেলা আলাপ করতে অস্বীকার করেন এবং সবশেষে বলেন যে পিলার দুটি সরানো সম্ভব নয়। নোয়াখালী পিডিবির অত্যাচারে অতিষ্ঠ জেলাবাসী।পিডিবি কর্মকর্তারা জনগণের উপর জোর করে,অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। দেশে ন্যায় বিচার নেই বলে মন্তব্য করেন সাংবাদিক পরিবার।