প্রধানমন্ত্রী নিজে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে ব্র্যান্ডিং করেন। প্রত্যেক বিদেশ সফরে তিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে যান। এমনটা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস।
তিনি বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশনের আগের চার বছর মোটেও কম সময় নয়। বাংলাদেশ যে গতিতে এগোচ্ছে, তাতে এ সময়ের মধ্যে বিভিন্ন সংস্থার করা হিসাব বদলে যাবে। এছাড়া ভ্যাকসিন ক্রয় ও মেগা প্রকল্পগুলোতেও কোনও দুর্নীতি হয়নি।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘এক্সপোর্ট চ্যালেঞ্জেস অব বাংলাদেশ আফটার গ্রাজুয়েশন ফ্রম এলডিসি স্ট্যাটাস: অপশনস ফর দ্য প্রাইভেট সেক্টর’ শীর্ষক সেমিনারে এ আহ্বান জানান তিনি।
এফবিসিসিআই সভাপতি জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শরিফা খান, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক সৈয়দ আলমাস কবির, প্যানেল উপদেষ্টা ও সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, এমসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, পিডব্লিউসি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা অংশীদার মামুন রশীদ, এফবিসিসিআইয়ের উপদেষ্টা মঞ্জুর আহমেদ, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মজিবুর রহমান বক্তৃতা করেন।
এ সময় এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, রফতানি সংক্রান্ত সব কার্যক্রম বাস্তবায়নে ইপিবি, এনবিআর, ও অন্যান্য প্রশাসনিক সিঙ্গেল উইন্ডো ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এলডিসি উত্তরণের ফলে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে রফতানি খাত। তাই রফতানিকে সমৃদ্ধ করতে সব খাতকে সমান সুবিধা দেওয়া দরকার।
এক্ষেত্রে ওয়ান স্টপ সেবা চালুর আহ্বানও জানান জসিম উদ্দিন।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম জানান, বিশ্বব্যাংক ব্যবসা সহজীকরণ সূচক প্রকাশ বন্ধ করলেও, দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে তার প্রতিষ্ঠান। ২০১৯ সালে চালুর পর থেকে ওয়ান স্টপ সার্ভিস থেকে বিডা-সংশ্লিষ্ট ৫০ হাজারের বেশি সেবা দেওয়া হয়েছে। দৈনিক গড়ে বিডার ১০০টি সেবা দেওয়া হচ্ছে।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, এলডিসি উত্তরণের পরও যেন অন্তত ৬ বছর শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা অব্যাহত থাকে সে ব্যাপারে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সঙ্গে দর কষাকষি চলছে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এফবিসিসিআইয়ের প্যানেল উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য ড. মোস্তফা আবিদ খান।
মূল প্রবন্ধে এলডিসি পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যবসার খরচ হ্রাস, কাস্টমসের সক্ষমতা বৃদ্ধি, উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়।