ইয়াঙ্গুনের সাবেক চিফ মিনিস্টার ফিও মিন থেইনের কাছ থেকে ৬ লাখ ডলার ও ১১ দশমিক ৪ কেজি সোনা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে সু চিকে এ দণ্ড দেওয়া হয়।
দুর্নীতির এ অভিযোগকে ‘হাস্যকর’ বলে নাকচ করেন সু চি। অন্যদিকে এ বিচারকে প্রহসন বলে আখ্যা দিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
তবে মিয়ানমারের সেনা সরকারের দাবি, যথাযথ নিয়ম মেনেই স্বাধীন আদালতে সু চির বিচার করা হয়েছে।
সু চির বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত দুর্নীতির মোট ১১টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় রুদ্ধদ্বার বিচারের মাধ্যমে রায় হয়েছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থান হয়। সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হয় সু চির বেসামরিক সরকার। সেনা অভ্যুত্থানের পর সু চিকে গৃহবন্দী করা হয়।
শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চির বিরুদ্ধে অন্তত ১৮টি অভিযোগ এনেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। এসব অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর সব মিলিয়ে ১৯০ বছর সাজা হতে পারে।
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে সেনাশাসনবিরোধী বিক্ষোভে জান্তার হাতে হাজারো মানুষ নিহত হয়েছেন।