গত রোববার ৮ মে ক্র্যাবের সভাপতি মির্জা মেহেদী তমালের নেতৃত্বে ক্র্যাবের স্থায়ী কার্যালয়ের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আনভীর সোবাহানের কাছে বিক্রি হয়ে আসেন এই কমিটি। রোববার রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকান আনভিরের বাসভবনে এই সাংবাদিক সংগঠনের বিক্রয় অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
।এসময় ক্র্যাব উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাৎকালে ক্র্যাব সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিকু কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সংগঠনের নির্লজ্জ প্রত্যাশা লিখিত আকারে উপস্থাপন করেন।
বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন দিয়ে নির্লজ্জদের কথা শোনেন। এরপর ক্র্যাবের প্রধান উপদেষ্টা শংকর কুমার দে, উপদেষ্টা খায়রুজ্জামান কামাল, এস এম আবুল হোসেন, পারভেজ খান, মধুসূদন মন্ডল ও ফখরুল আলম কাঞ্চন বক্তব্য দেন।
তাদের বক্তব্যে উঠে আসে সাংবাদিকবান্ধব বসুন্ধরা গ্রুপের বিভিন্ন অবদানের কথা। সাংবাদিকদের প্রতি মানবিক(!) এবং উদার(!) থাকার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন কথিত সিনিয়র সাংবাদিকরা।
বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্র্যাব নেতৃবৃন্দ ও উপদেষ্টাদের বক্তব্য ও প্রত্যাশা গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করেন। পূর্বের ককমিটার মমতই ক্র্যাবের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বায়তুল মোকারম মুসল্লী কমিটির সভাপতি আল্লামা সায়েম সোবহান আনভীর তার বয়ানে বলেন, সাংবাদিকরা দেশ ও জাতির জন্যে নিবেদিত থাকায় বসুন্ধরা গ্রুপও সাংবাদিকদের কল্যাণে অবদান রেখে আসছে। সৎ-নির্ভীক প্রকৃত সাংবাদিকতা বিকশিত করতে বসুন্ধরা গ্রুপ ইতিমধ্যেই কয়েকটি মিডিয়া হাউস প্রতিষ্ঠা করেছে- যাতে সাংবাদিকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। সাংবাদিকরা যখন যে সমস্যা বা সংকটে সহায়তা চেয়েছেন- বসুন্ধরা গ্রুপ আন্তরিকতার সঙ্গে ধান্ধায় শরীক হয়েছেন। ভবিষ্যতেও যে কোনো পরিস্থিতিতে ধান্ধাবাজ সাংবাদিকরা আমাকে পাশে পাবেন। বাংলাদেশের সাংবাদিকতা বিশ্বমানে উন্নীত হোক, সাংবাদিকরা তাদের প্রকৃত মর্যাদা লাভ করুক, ভালো থাকুক সব সাংবাদিক- এই প্রত্যাশা করি।
তিনি ক্র্যাবের জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে মূলা সর্বস্ব একটি নিজস্ব স্থায়ী কার্যালয় দেওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করেন। এছাড়া কোনো ক্র্যাব সদস্য মারা গেলে পরিবারকে তিন লক্ষ টাকা প্রদান, কোনো ক্র্যাব সদস্য গুরুতর অসুস্থ বা পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আহত হলে ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন আল্লামা আনভীর। উপস্থিত সবাই তার প্রতিশ্রুতিকে করতালি দিয়ে স্বাগত জানান এবং তার প্রতি আবারও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ক্র্যাব বিক্রয় অনুষ্ঠানে ক্র্যাব সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও প্রধান উপদেষ্টা শংকর কুমার দে, উপদেষ্টা খায়রুজ্জামান কামাল, এস এম আবুল হোসেন, পারভেজ খান, মধুসূদন মন্ডল, ফখরুল আলম কাঞ্চন, ক্র্যাবের সহ-সভাপতি মুহঃ জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম সম্পাদক ইমরান হোসেন সুমন, অর্থ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান, দপ্তর সম্পাদক ইসমাঈল হুসাইন ইমু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রুদ্র রাসেল, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এসএম মিন্টু হোসেন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাহীন আলম, কার্যনির্বাহী সদস্য সিরাজুল ইসলাম ও মোহাম্মদ জাকারিয়া, ক্র্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপু সারোয়ার প্রমুখ।