বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বহুল আলোচিত সভা অনুষ্ঠিত হবে একটু পরেই। দুপুর ১২টায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সেটি শুরু হতে খানিক দেরি হচ্ছে। তবে এই সভার উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে মিরপুরের বিসিবির অফিসে। একে একে আসা শুরু করেছেন বোর্ড পরিচালকরা। তবে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে বিসিবিতে এসেছেন সভাপতি নাজমুল হাসান। এরপরই বৈঠক শুরু হয়েছে। গত নির্বাচনের পর এটি বোর্ডের দ্বিতীয় বৈঠক।
এখন পর্যন্ত মিরপুরে এই বোর্ড সভাতে এসেছেন পরিচালক জালাল ইউনুস, তানভীর আহমেদ টিটু, আকরাম খান, খালেদ মাহমুদ সুজনসহ বেশ কয়েকজন।
এবারের বোর্ড সভার এজেন্ডার কথা জানাতে গিয়ে বুধবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে বিসিবির পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ টিটু বলছিলেন, ‘আমাদের রেগুলার বেসিসে যে ধরনের প্রক্রিয়াগুলো ক্রিকেট বোর্ডে থাকে, সেই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হবে। সেখানে নতুন অবকাঠামো উন্নয়ন, মাঠের কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার আছে এবং সামগ্রিকভাবে আমাদের একটা এজিএম আছে সেটা নিয়ে কিছু কথা আছে। এগুলোই হয়তো কালকে আলোচনা হবে।’
বোর্ডের বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে আগামী ২৬ জুলাই। এই বিষয়টি এতোদিন বৈঠকের মূল এজেন্ডা ছিল। তবে বৈঠকের সব আলো কেড়ে নিয়েছে মুমিনুল হলের অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত। সাদা পোশাকে মুমিনুলের জায়গার কাকে বসানো যায় বা আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে মুমিনুলের কাঁধেই দায়িত্ব রাখা যায় কি না সেই সিদ্ধান্ত হবে এই বৈঠক। তবে প্রসঙ্গটি তুলতে হবে বোর্ড সভাপতি পাপনকেই।
টিটু বলেন, ‘মুমিনুল কালকে যে কথাগুলো বলেছে, সে টেস্টে অধিনায়কত্ব করতে চায় না। এটা কিন্তু হুট করে গতকালই অফিসিয়ালি জানিয়েছে এবং সংবাদ মাধ্যমকেও সে জানিয়েছে, বোর্ড সভাপতিকেও জানিয়েছে। একটা মিটিং যখন হয় সেটার এজেন্ডা তো নির্ধারিত হয় অনেক আগে থেকে। এটা যেহেতু গতকালকে আমাদের কাছে এসেছে, বোর্ড সভাপতির কাছে সে বলেছে। ওটা অফিসিয়াল এজেন্ডাতে যে এখানে আসবে ওরকম কিছু প্রস্তুতের সময় কিন্তু আমরা পাইনি। সভাপতির কাছে সে এটা বলেছে , কালকের মিটিংয়ে সভাপতি যদি মনে করে উঠিয়ে আলাপ আলোচনা করেন, তাহলে কালকেই সেটি নিয়ে আলোচনা হবে।’
এদিকে গত ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু আর হাবিবুল বাশার সুমনের মেয়াদ। নতুন করে মেয়াদ না বাড়লেও বোর্ডের সবুজ সংকেতে দায়িত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। তাদের রাখা বা না রাখার সিদ্ধান্তটি কি উঠবে এই সভায়?
টিটুর ব্যাখ্যা, ‘আমি আনুষ্ঠানিকভাবে আজকে আর আমাদের সকল এজেন্ডাগুলো মিটিংয়ের আগে সেভাবে বলতে চাই না। যেহেতু এই ব্যাপার নিয়ে অনেকবার প্রশ্ন করেছেন, সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপারগুলো অনেকবার এসেছে, বোর্ড সভাপতিও এ ব্যাপারে অনেকবার কথা বলেছে। ক্রিকেট অপারেশন্স এবং আমাদের যার যার ডিপার্টমেন্টের যে কার্যক্রম এগুলো নিয়ে আমাদের আলোচনা হবে। সব ডিপার্টমেন্টের আলোচনাই বোর্ড সভায় হবে। সেখানে অপারেশন্স যদি মনে করে এই ব্যাপার নিয়ে কোনো কিছু চূড়ান্ত করতে চায় তাহলে কালকে হবে।’
এজেন্ডাতে অবকাঠামোর বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে বলে জানালেন টিটু, ‘আমাদের অবকাঠামো উন্নয়নের কিছু কাজ আছে যেগুলো নিয়ে সভাপতি সাহেব প্রথম থেকেই বলে আসছে। ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য যা যা করণীয় সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ শুরু করবো। এই বোর্ডের প্রথম কাজ হচ্ছে আমাদের সুবিধাগুলোর উন্নতি করা। বোর্ড সভাপতি অনেকবার বলেছেন। সেগুলো নিয়েই আমাদের কালকে আলোচনায় আসবে, সেগুলো নিয়ে চূড়ান্ত করবো।’