সদ্য সমাপ্ত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে বিএনপি দলীয় সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেছেন, ইসির যে নতজানু-মেরুদণ্ড ভাঙা অবস্থা, তাতে খুব পরিষ্কার বুঝা যায় আগামীতে যে জাতীয় নির্বাচন হবে, সেটা কোনভাবেই এ কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, যে কমিশন একজন এমপিকে সামাল দিতে পারে না। সেই কমিশন কীভাবে ৩০০ জন সিটিং এমপিকে সামাল দিয়ে নির্বাচন করবে? সেটা বড় প্রশ্ন।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নির্বাচন কমিশনার সচিবালয়ের অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাবের ছাঁটাইয়ের আলোচনায় তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে থাকলে সরকার স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে সুষ্ঠু দেখানো সরকারের পুরোনো খেলা। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে এ নাটক দেখেছি। কিছুদিন আগে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দেখলাম মাত্র একজন এমপির হুমকি-ধামকি নির্বাচন কমিশন সহ্য করতে পারেনি। বারবার তাকে অনুরোধ করা হয়েছে, চিঠি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে, কিন্তু কমিশন তাকে এলাকা থেকে সরাতে পারেনি।
রুমিন ফারহানা বলেন, নির্বাচন যে মল্লযুদ্ধ, তার বড় প্রমাণ এ নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য। শপথ নেওয়ার পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন জেলেনস্কির (ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট) মতো বিএনপিকে মাঠে থাকতে হবে। ভোট কি যুদ্ধ যে জেলেনস্কির মতো বিএনপিকে মাঠে থাকতে হবে?
গোপন কক্ষে ডাকাত ধরাই বড় চ্যালেঞ্জ- ইসির এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ডাকাত যে শুধু দলীয় ক্যাডার তাই নয়, এর মধ্যে রয়েছে পুলিশ ও প্রশাসন। এই ডাকাতদের পরবর্তী সময়ে যেভাবে পুরস্কৃত করা হয়, সেই পুরস্কার দেখে বুঝা যায় ভবিষ্যতে এ ডাকাতের সংখ্যা বাড়বে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে পুরস্কার হিসাবে স্থানীয় সরকার বিভাগে পদায়ন করা হয়।
অবসরে যাওয়ার আগে তার (হেলালুদ্দীন আহমদ) বিদেশ সফরের বিষয়টিও উল্লেখ করেন রুমিন ফারহানা। মেয়াদ শেষের পরে নির্বাচন কমিশনাররা সত্য বলা শুরু করে বলে জানান তিনি।