বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবহার শুরু করতে চায় ভারত। এ জন্য পরীক্ষামূলকভাবে চারটি ট্রায়াল রান আগামী মাসের (আগস্ট) মধ্যেই পরিচালনা করতে চায় দেশটি। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো একটি প্রস্তাবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এমনটাই জানিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় জাহাজকে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ করে দিতে বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত, সে বিষয়ে আলোচনার জন্য আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। সভায় পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য, সড়ক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
বৈঠকে বন্দরের নিরাপত্তা, স্থলবন্দরের অবস্থা, ইমিগ্রেশন, শুল্ক, সড়কপথের পরিস্থিতি, কাস্টমসে বাংলাদেশের প্রস্তুতি কতটুকু– সেসব পর্যালোচনা করা হবে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে জানিয়েছে, ভারত সরকার জুলাইয়ের মধ্যেই চারটি ট্রায়াল রান শেষ করতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত নয়, সেটা জানার পর ট্রায়াল রানের সময় এক মাস পেছানো হয়।
আগস্টের মধ্যেও পরীক্ষামূলক চারটি ট্রায়াল রান করার মতো প্রস্তুতি বাংলাদেশ সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য সরবরাহ করতে দুই দেশের মধ্যে ২০১৮ সালের অক্টোবরে চুক্তি হয়েছিল। বাংলাদেশের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও ভারতের নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এ চুক্তিতে সই করে। পরিবহনসংক্রান্ত চুক্তিটির নাম ‘অ্যাগ্রিমেন্ট অন দ্য ইউজ অব চট্টগ্রাম অ্যান্ড মোংলা পোর্ট ফর মুভমেন্ট অব গুডস ফ্রম ইন্ডিয়া (এসিএমপি)’। দুই দেশই বিশ্বাস করে, এ চুক্তির মাধ্যমে উভয় দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে।