বৃহস্পতিবার , ২৮ জুলাই ২০২২ | ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

দুদক কর্মকর্তার ‘গোপনে’ বিদেশ ভ্রমণ, যা বললেন সচিব

প্রতিবেদক
Newsdesk
জুলাই ২৮, ২০২২ ১২:৫২ অপরাহ্ণ

অনুমতি ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ করায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে প্রেষণে নিয়োজিত জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ইমরুল কায়েসকে। তিনি দুদকে উপ-পরিচালক হিসেবে অভিযোগ যাচাই-বাছাই বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন  বলেন, যার নামটা বললেন, উনি গত মে মাসে বিদেশ যাওয়ার জন্য অনুমোদন নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে বিদেশ ভ্রমণ করেন। বিষয়টি নজরে আসার পর কমিশন তাকে প্রত্যাহার এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়।

সরকারি আদেশ জালিয়াতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরাও এটা শুনেছি। উনি (ইমরুল কায়েস) কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বিদেশে গেছেন। এখন উনার বিষয়টি দেখবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

দুদকের এই কর্মকর্তা ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে, সচিব পরিষ্কার করে কিছু বলেননি। তিনি শুধু জানান, বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দেখবে।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে ইমরুল কায়েসের ফোনে কল ও ম্যাসেজ পাঠালেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।

এর আগে বুধবার (২৭ জুলাই) জানা যায়, ইমরুল কায়েসকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি অনুবিভাগে ন্যস্ত করা হয়। জনপ্রশাসন বিভাগের উপ-সচিব আবু ফতেহ মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম সই করা এক আদেশে এমনটি বলা হয়।

দুদক সূত্র জানায়, ইমরুল কায়েস জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি আদেশ তৈরি করে ভারত ভ্রমণ করেন। যদিও তিনি গত ২৯ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ১০ মে-১৮ মে ব্যক্তিগত সফরে ভারত যাবেন বলে অনুমতি নিয়েছিলেন। তবে ওই সময়ে ভারতে না গিয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া পরে গোপনে ভারত ভ্রমণ করেন। যা সরকারি চাকরিবিধি পরিপন্থী।

দুদক কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে প্রেষণে দুদকের অভিযোগ যাচাই-বাছাই সেলে নিযুক্ত হন। ২০২২ সালের ২৯ মার্চ তিনি ভারত ভ্রমণের জন্য ৯ দিনের ছুটি (জিও) নেন। ১০ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত তার ছুটি কার্যকর হয়। ১০ মে তারিখে ভারতে যান ইমরুল কায়েস। পরে জুলাই মাসে তিনি আবার ভারত যান। তবে সে সময় ভারত ভ্রমণের জন্য সরকারি অফিস আদেশ (জিও) নেননি।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক