নিজেকে নির্দোষ দাবি করে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, বিনা কারণে দুদককে ব্যবহার করে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে।
রোববার (২১ মে) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ভুয়া ব্যাংক হিসাবে অবৈধ লেনদেন, বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে আগামী ২১ ও ২২ মে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে নোটিশ দেয় দুদক।
দুদকের উপ-পরিচালক আলী আকবরের নেতৃত্বে দুটি আলাদা অনুসন্ধান টিম জাহাঙ্গীর আলমকে তলব করেছে। দুই টিমের অপর দুই সদস্য হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আলিয়াজ হোসেন ও মো. আশিকুর রহমান।
দুদক সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ হলো বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেন।
আরেকটি অভিযোগ হলো গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিছুর রহমান ও কতিপয় ঠিকাদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ।
গত বছরের জুনে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ১ম অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এজন্য দুই সদস্যের টিম গঠন করা হয়। পরে দুদকে তার বিরুদ্ধে আরেকটি নতুন অভিযোগ জমা পড়ে।
২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বহিষ্কার করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জাহাঙ্গীর আলমের কিছু বিতর্কিত মন্তব্য সম্বলিত ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ২০২১ সালের ৩ অক্টোবর জাহাঙ্গীর আলমকে শোকজ করে আওয়ামী লীগ।
পরে ওই বছরের ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে অবশ্য তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছিল দল।
তবে সম্প্রতি গাজীপুর সিটি নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী হওয়াকে কেন্দ্র করে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে গত সোমবার (১৫ মে) তাকে আবার স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ।












The Custom Facebook Feed plugin