বাংলাদেশের নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন ভিসা নীতির ঘোষণা করলো যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার রাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে. ব্লিঙ্কেন এক টুইট বার্তায় বলেছেন, বাংলাদের সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধাদানকারীদের আর ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।
ব্লিঙ্কেনের টুইটের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম গণমাধ্যমকে বলেন, মার্কিন সরকার ঘোষিত নতুন ভিসা নীতি বাংলাদেশ সরকারকে মোটেও বিচলিত করছে না, কারণ সরকার জনগণকে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এটি কোন ধরণের স্যাংশন নয়। এই ব্যাপারে বরং বিএনপি’র উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। নির্বাচনের আগে বা পরে যেকোনো প্রকার সহিংসতা ঘটালে সেটা বরং তাদের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৃহস্পতিবার নতুন ঘোষিত এই নীতিমালা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পর তারা বিস্তারিতভাবে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবেন।
উল্লেখ্য বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে উৎসাহ দিতে বুধবার নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এই নীতি অনুযায়ী, বাংলাদেশের নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থকারি বা তাতে সহায়তাকারি কোন ব্যক্তিকে আর ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।
যাদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে তাদের মধ্যে বাংলাদেশের কর্মরত কিংবা সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, সরকারি বা বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, বিচার বিভাগের কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা পরিষেবার সদস্যরাও রয়েছেন।
যেসব কাজকে যুক্তরাষ্ট্র গর্হিত হিসেবে অভিহিত করেছে সেগুলো হচ্ছে— ভোটে কারচুপি, ভোটারদের ভয় প্রদর্শন, সহিংসতার মাধ্যমে মানুষকে জমায়েত বা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে না দেওয়া। এছাড়া রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা মিডিয়াকে তাদের মত প্রকাশ করতে না দেওয়াকেও গর্হিত হিসেবে বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।












The Custom Facebook Feed plugin