আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনো কারও মানবাধিকার লংঘন করে না, বরং সুরক্ষা দেয়। আওয়ামী লীগ মানুষের সমস্যার সমাধান করে, কল্যাণ করে। মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রশ্নে বিএনপির নাম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা খুনিদের বিচারের হাত থেকে রেহাই দিয়ে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করে, তখন মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না? আমি নিজেও বলতে পারি-আমার মানবাধিকার কোথায় ছিল? কেন আমি বাবা-মায়ের লাশ দেখতে পাইনি? কেন খবর পাইনি। কেন আমাকে ৬ বছর দেশে আসতে দেয়নি। কেন রেহানার পাসপোর্ট জিয়াউর রহমান রিনিউ করতে দিল না? সে জবাব কি তারা দেবে? কোন সন্ত্রাসী, কোন জঙ্গি, কোন ড্রাগ ডিলার মারা গেছে, তাদের মানবাধিকার নিয়ে ব্যস্ত। এরা যে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। তার কোনো কথা নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে না, সুরক্ষা দেয়। মানবাধিকার নিশ্চিত করে। শুধু বেঁচে থাকাই তো সুরক্ষা নয়। খাদ্যশস্য উৎপাদন করছি। মানুষকে বিনা পয়সায় খাবার দিচ্ছি। করোনায় বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছি। স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছি।
গুম-খুন নিয়ে সমালোচনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির অনেকে গুম খুন নিয়ে কথা বলে। আর এদেশে গুম-খুনের কালচার তো শুরু করেছেন জিয়াউর রহমান। আমাদের শত শত নেতাকর্মীকে গুম করেছে। ফাঁসি দেওয়ার সংস্কৃতিও তার। একদিনে দশজনকে ফাঁসি দিয়েছে। হাজার হাজার মা-বোন ও ভাইয়ের কান্না শোনা যায়। কত মানুষকে জিয়াউর রহমান হত্যা করেছেন! এক বিমানবাহিনীর ৫৬২ জন, সেনাবাহিনীর ২ হাজার অফিসার ও সৈনিক। সে পরিবারগুলো আজও তাদের আপনজনের জন্য কাঁদেন। কই, মরদেহের খবরটাও তো পায়নি। এরপর কোন মুখে বিএনপি গুম-খুন নিয়ে কথা বলে?












The Custom Facebook Feed plugin