বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না, তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছে বিএনপি।
শনিবার (১৪ জুলাই) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি বিষয়টি জানায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামীতে জনগণের ভোটে নির্বাচন সম্ভব কিনা জানতে চেয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধিদল। বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত দেশে গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ নেই।
কারণ হচ্ছে— নির্বাচন তো দূরে থাকুক, এখন থেকেই ভোটচুরির পরিকল্পনা শুরু করেছে সরকার। পছন্দনীয় ডিসি ও পুলিশদের পোস্টিং দেওয়া শুরু করেছে। পাশাপাশি বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিএনপিকে সমাবেশেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির এ সিনিয়র নেতা প্রশ্ন করে বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কেন বিদেশের বিভিন্ন প্রতিনিধিদলকে আসতে হচ্ছে? এটি যেমন দেশের মানুষের প্রশ্ন, বিশ্বের মানুষেরও প্রশ্ন। শুধু তাই নয়, যারা আসছেন তাদেরও প্রশ্ন— কেন তাদের আসতে হচ্ছে? দক্ষিণ এশিয়ার অন্য কোনো দেশে তাদের যেতে হচ্ছে না?
আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে সোজা জানিয়েছি, এ সরকারের অধীনে মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না। এটি দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। তিনি দাবি করেন, প্রতিনিধিদলের সদস্যরাও অতীতের নির্বাচন পর্যালোচনা থেকে মনে করেন, এ সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
সেখানে অংশ নেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল হোসেন জবিউল্লাহ।


















