সর্বশেষ জনশুমারি বলছে দেশের মোট জনসংখ্যার চার ভাগের এক ভাগ তরুণ। পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যাটাই বেশি। আগামী নির্বাচনে যে কোনো দলের জয় পরাজয়ে বড় ভূমিকা রাখবে এই তরুণ আর নারী ভোটাররা। তাই নির্বাচনী ইশতেহারে তরুণ ও নারীদের ইস্যুগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ।
দেশের হালনাগাদ ভোটার তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছে প্রায় ৮০ লাখ নতুন ভোটার। মোট ভোটার ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার। গত মার্চে প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা দিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ও পরবর্তী সব নির্বাচন হবে। যেখানে পৌনে পাঁচ কোটি তরুণের ভোটার।
রাজনৈতিক দলগুলোর আগ্রহের কেন্দ্রে এই ভোটাররা। নির্বাচনী ইশতেহারে এ তরুণদের জন্য চমক থাকবে। প্রযুক্তি, শিক্ষার পাশাপাশি বেকারত্ব হ্রাসের জন্য নানা রকম কর্মসংস্থানের রূপরেখা থাকবে ইশতেহারে, জানান নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন উপকমিটির সদস্য সাব্বির আহমেদ।
তিনি বলেন, এই ইশতেহারে আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হবে কর্মসংস্থান। কর্মসংস্থান জন্য আমাদের ইতোমধ্যে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার কাজ করছে। আমাদের আইটি সেক্টর যথেষ্টভাবে ডেভেলপ করেছি। আমাদের ইকোনমিক জোনগুলো রেডি হয়েছে। অলরেডি ৩০ বিলিয়ন ডলারের মতো ইনভেস্টমেন্ট চলে এসেছে। এই জিনিসগুলোকে একসাথে করে আগামী নির্বাচনে কর্মসংস্থান ব্যবস্থার দিকে আমাদের প্রধান আগ্রহ থাকবে।
তরুণদের পাশাপাশি জনসংখ্যার অর্ধেক নারীকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মনে করেন ইশতেহার উপকমিটির সদস্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। ইশতেহারে নতুন ভোটারের প্রতি নজর দিয়ে তাদের সম্পৃক্ত করে নানা বিষয় অন্তর্ভুক্তির কথা বলেন এই শিক্ষাবিদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ উপাচার্য বলেন, তারা সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশকে কীভাবে দেখতে চায়। দেশের তরুণ প্রজন্মকে যেমন গুরুত্ব দিতে হবে একইভাবে প্রবীণ প্রজন্ম, যাদের আয়-উপার্জন খুব কম- যাদের অনেক রকম চাহিদা আছে, স্বাস্থ্যের চাহিদা আছে। সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্পের চাহিদা আছে, সেগুলো কতটা গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ৫০ শতাংশ মহিলা যারা আছে, তাদের অগ্রগতি, তাদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া বা অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রতিটা দলেই একটা সিদ্ধান্ত থাকা উচিত। একটা লক্ষ্য থাকা উচিত।
ইশতেহারে গুরুত্ব পাবে কৃষি, সেবা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ছোট ও বড় শিল্পোৎপাদন খাত, আইনের শাসন বাস্তবায়নসহ বেশ কিছু বিষয়।