প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এই ব্যাপারে সবাই সতর্ক থাকবেন। নিজেদের সন্তান যেন মাদক, জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়।
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কথা তুলে শেখ হাসিনা বলেন, মহামারির কারণে অনেক সমস্যা দেখা দিয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। শত সমস্যার মধ্যেও আমরা দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রেখে যাচ্ছি।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার তালিমপুর তেলিহাটি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কোটালীপাড়াবাসিকে আগে শুধু পানি, খাল-বিল, বাঁশের সাঁকো পার হতে হতো। আজকে শুধু এখানে রাস্তাঘাট, পুল, ব্রিজ করে এই অঞ্চলের মানুষের আর্থিক সুবিধা করে দিয়েছি। ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ, টুঙ্গিপাড়া আসতে ২২ ঘণ্টা সময় লাগতো লঞ্চ বা স্টিমারে। মাত্র আড়াই ঘণ্টার মধ্যে আমরা এখানে পৌঁছে গেছি।
পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। কারণ, দুর্নীতি করে নিজের ভাগ্য বদলাতে আসিনি, জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করতে এসেছি। কেউ যখন মিথ্যা অপবাদ দেয়, সেই অপবাদ নিতে আমি রাজি না। বিশ্বব্যাংক এই অপবাদ দিতে চেষ্টা করেছিল। তারা সফল হয়নি, তারা সেটা পারেনি। আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মাসেতু নির্মাণ করেছি বলে আজ এতো দ্রুত কোটালীপাড়ায় আসতে পারছি। বাংলাদেশের মানুষ আত্মমর্যাদা নিয়ে চলে, আমাদের কেউ অপবাদ দিলে আমরা তা মানব না।
এর আগে গোপালগঞ্জে ৪৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে রয়েছে ৪৪টি নবনির্মিত উন্নয়ন প্রকল্প ও ৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন।
এর আগে, নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জনসভায় যোগ দিতে পৌঁছাছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সকাল ১০টা ২৫মিনিটে কোটালীপাড়ায় পৌঁছান তিনি।
শনিবার ভোর থেকেই কোটালীপাড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে সমবেত হতে থাকেন। সকাল ৯টার মধ্যে জনসভাস্থল কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। রঙ বেরঙের ব্যানার নিয়ে বাজনা বাজিয়ে বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষ জনসভায় যোগ দিচ্ছেন। বাসন্তী রংয়ের শাড়ী ও সাদা টি-শার্ট পরে মিছিল নিয়ে নারী পুরুষদের জনসভাস্থলে আসার দৃশ্য ছিল চোখে পড়ার মতো।
দীর্ঘ চার বছর পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ায় এসেছেন।


















