শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

জাতিসংঘের উচিত গুমের বিস্তারিত যাচাই করা: সুলতানা কামাল

বাংলাদেশে গুমের ব্যাপারে জাতিসংঘের তালিকায় ত্রুটির অভিযোগ নিয়ে সম্প্রতি ভারতের ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিয়া টুডেকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল। ‘বিচারের নামে প্রহসন: বাংলাদেশে গুম নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ত্রুটির সমালোচনা বিশেষজ্ঞদের’ শিরোনামে গত ২ অক্টোবর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমটি। ওই প্রতিবেদনে প্রকাশিত সুলতানা কামালের মন্তব্য নিয়ে হৈচৈ শুরু হলে শুক্রবার তার সাক্ষাৎকারের পুরো স্ক্রিপ্টটি প্রকাশ করে ইন্ডিয়া টুডে।

প্রশ্ন ১: জাতিসংঘের মতো সংস্থাগুলোর পক্ষে কিছু বেসরকারি সংস্থা (এনজিও)-র ওপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করা কি ন্যায়সঙ্গত, অধিকারের মতো যারা ইতোমধ্যেই ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজত ইস্যু ইত্যাদি ঘটনায় মৃত্যুর পরিসংখ্যান বাড়িয়ে দেখানোর জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছে?

উত্তর: জাতিসংঘের কথা বাদ দিন, বিশ্বাসযোগ্য সূত্রের মাধ্যমে বিষয়বস্তু যাচাই না করে, বিশেষ করে মামলার সংখ্যা ও মাত্রার পরিপ্রেক্ষিতে কোনও সংস্থার দেওয়া তালিকার ওপর সম্পূর্ণ নির্ভর করা কোনও দায়িত্বশীল সংস্থার জন্যই সুবিবেচনাপ্রসূত বা যথাযথ নয়। এটি ইস্যুটির গুরুত্ব কমিয়ে দেয়।

এটিও মনে রাখতে হবে যে, একটি তালিকায় সংখ্যা বা পরিসংখ্যানের ভুল স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রশ্নে থাকা সমস্যাগুলোকে খারিজ করে দেয় না। কিংবা এর অর্থ এটাও নয় যে, অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ সত্য নয়।

আমি মনে করি যে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে এইচআরডব্লিউ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ভূমিকা ন্যায্য ছিল না। এছাড়া তারা ১৯৭১ সালে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে না। গণহত্যার বৈশ্বিক স্বীকৃতি ব্যাপারে তাদের ভূমিকা নিঃসন্দেহে হতাশাজনক এবং এটি মানবাধিকার সংস্থার বিষয় হয়ে উঠছে না। যাই হোক, এটা সত্য যে মানবাধিকার ইস্যুতে কাজ করা সংস্থাগুলোকে তাদের তথ্যের উৎসগুলো বিবেচনার ক্ষেত্রে আরও যত্নশীল হওয়া উচিত। তবে তার অর্থ এই নয় যে, জাতিসংঘের উত্থাপিত উদ্বেগকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হবে না। ভুক্তভোগীদের মনের যন্ত্রণা, দুঃখ, ভীতিকে যত্ন ও শ্রদ্ধার সঙ্গে সমাধান করা উচিত।

প্রশ্ন ২: বাংলাদেশের একটি রক্তাক্ত অতীত আছে। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশের প্রথম সামরিক স্বৈরশাসক এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমানের অধীনে অন্তত ১৯টি অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। জেনারেল এরশাদের আমলেও একই প্রবণতা ছিল। তারপর ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে বেগম জিয়ার অধীনে পুরোপুরিভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে। এছাড়া ২০১৩ সাল থেকে বিএনপি-জামায়াত জোট কর্তৃক সহিংসতা শুরু হয়। শুধু আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং বিরোধী জোটের ওপর তাদের অপরাধের জন্য একই ধরনের চাপ না দেওয়া। আপনি কি এটিকে একটি ন্যায্য পদ্ধতি হিসেবে দেখেন?

উত্তর: আমি মনে করি না যে, অতীতে অন্য অপরাধীদের ওপর তাদের অপরাধের জন্য কোনও চাপ তৈরি করা হয়নি, এটিকে বর্তমান সময়ে সংঘটিত অপরাধগুলোকে উপেক্ষা করার বা স্বীকার করার জন্য একটি অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করা উচিত। এই ধরনের নৃশংসতা বন্ধের জন্য সুশীল সমাজসহ সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোর বারবার প্রতিবাদ ও দাবি জানানো সত্ত্বেও মানবাধিকারের নিয়ম লঙ্ঘন করে চলেছে এমন একটি প্রতিষ্ঠানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অতীতে অন্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি বলেই বর্তমান অপরাধীদের অপরাধের বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া যায় না।

প্রশ্ন ৩: বিএনপির তরফে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভুয়া অভিযোগের রেকর্ড রয়েছে, যা ইতোপূর্বে ডেইলি স্টার এবং দেশের অন্যান্য আউটলেটেও প্রকাশিত হয়েছে।

উত্তর: হ্যাঁ, এজন্য যথাযথ ক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। বিএনপি কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘনের জালিয়াতি ইতোমধ্যেই তাদের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

প্রশ্ন ৪: আপনি কি মনে করেন যে, শেখ হাসিনা বা বিএনপির অধীনে অধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশ নিরাপদ – উভয় দলের ট্র্যাক রেকর্ডের পরিপ্রেক্ষিতে?

উত্তর: একটি সমতাভিত্তিক, অসাম্প্রদায়িক ও ন্যায়পরায়ণ সমাজের জন্য আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার প্রশংসনীয়। তবে এসব অঙ্গীকারের কিছু কিছু বাস্তবায়ন হয়নি। একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আমরা কেবল প্রমাণের ভিত্তিতে কথা বলতে পারি।

Facebook
X
WhatsApp
Email
Telegram
সর্বশেষ
ফেসবুক নেটওয়ার্ক ও পার্টনার পেজ
মিডিয়া
Cover for Table Talk Uk
595,824
Table Talk Uk

Table Talk Uk

Table Talk UK Discusses the political and social issues of the country. Our only purpose is to expose social inconsistencies and politics in the face of accountability on the path to democracy and talk about the rights of people.

This message is only visible to admins.
Problem displaying Facebook posts. Backup cache in use.
PPCA Error: Due to Facebook API changes it is no longer possible to display a feed from a Facebook Page you are not an admin of. The Facebook feed below is not using a valid Access Token for this Facebook page and so has stopped updating.

Smash Balloon Custom Facebook Feed WordPress Plugin The Custom Facebook Feed plugin

সর্বশেষ সংবাদ জানতে—এখনই সাবস্ক্রাইব করুন!
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
কপিরাইট © 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত — লন্ডন মিরর।
সম্পাদক: হাসিনা আক্তার
সার্চ করুন
লগইন/সাইন আপ
সর্বশেষ সংবাদ জানতে—এখনই সাবস্ক্রাইব করুন!