ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভারি বর্ষণে ঢাকার সড়কগুলোতে পানি জমে আছে। সোমবার রাতের ঝড়ে বহু সড়কে গাছ ভেঙে পড়ে আছে। এসব কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে যানবাহন চলাচল। যেসব সড়কে গাড়ি চলছে সেগুলোতেও লেগে আছে তীব্র যানজট।
সিত্রাংয়ের ধকল কেটে গেলে সোমবার দিবাগত রাত ১২টার পর বৃষ্টি কমে যায়। তবে আজ সকালে বৃষ্টি হয়নি। রোদ দেখা গেছে আকাশে।
রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় রাস্তায় পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। বিশেষ করে যেসব সড়কে নির্মাণ ও সংস্কার কাজ চলছে সেগুলোতে দুপাশে পানি কাদা জমে একাকার। কোনো কোনো সড়কে কোমরসম পানি দেখা গেছে।
পশ্চিম তেজতুরী বাজারে দুপুর পর্যন্ত প্রায় কোমরসমান পানি দেখা গেছে। ধানমন্ডি ২৭, মহাখালী উড়ালসড়কের নিচে, কাকলী সিগন্যাল থেকে বনানী উড়ালসড়ক পর্যন্ত, শান্তিনগর ও পুরান ঢাকার বেশ কিছু এলাকায় রাস্তায় পানি দেখা গেছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এর প্রভাবে রাজধানীর অন্তত দুই শতাধিক স্থানে গাছ ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। অধিকাংশ স্থানেই স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ, ট্রাফিক বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশন সড়ক থেকে ভেঙে পড়া গাছ সরিয়ে নিয়েছে। তবে এখনও যান চলাচল বিঘ্নিত রয়েছে বেশ কিছু সড়কে।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে রাজধানীর ৪৭ স্থানে গাছ পড়ার খবর পেয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটেছে দুটি, আগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আছে ১৭টি। আর বর্তমানে ৬টি স্থানে গাছ অপসারণের কাজ চালাচ্ছেন ফায়ারের কর্মীরা।
মৎস্য ভবনের সামনে একটি লেনে যানচলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। রাতে একটি বড় গাছ পড়ে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। নিউ মার্কেট এলাকায় একটি গাছ এখনো সড়কে পড়ে আছে। সেখানে একটি লেন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
সড়কে পানি ও গাছ পড়ে থাকায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বিকল্প পথে গাড়ি নিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। মঙ্গলবার সকালে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হয়েছে অফিসগামী লোকজনকে। সড়কে তীব্র যানজটে এক ঘণ্টার পথ তিন ঘণ্টায় যেতে হয়েছে।












The Custom Facebook Feed plugin