শুক্রবার , ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. খুলনা
  7. খেলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বাংলাদেশ
  15. বিনোদন

ঢাবিতে ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ছাত্রলীগের হামলা

প্রতিবেদক
Newsdesk
ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩ ৪:০৮ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে টিএসসিতে আসা নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে ১১টার দিকে টিএসসি প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্র অধিকার পরিষদের ৩ জন গুরুতরসহ অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় সাংবাদিকদের ওপরও তেড়ে আসে ছাত্রলীগ কর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ ছাত্র অধিকার পরিষদ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান ছিল টিএসসিতে। তবে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আগে থেকে টিএসসিতে অবস্থান নেয়। ছাত্র অধিকারের নেতাকর্মীরা সেখানে এলে পাল্টা স্লোগান দিতে থাকে ছাত্রলীগ। এভাবে ১০-১৫ মিনিট চলার পর ছাত্র অধিকার পরিষদ স্থান ত্যাগ করতে চাইলে মারধর শুরু করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। প্রথমে টিএসসি গেটে পরে ডাস চত্বর এবং মিলন চত্বরে ছাত্র অধিকারের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ।

ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখার সভাপতি আসিফ মাহমুদ  বলেন, আমরা টিএসসিতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে এলে তারা গেটেই আমাদের বাধা দেয়। বিদ্রুপ করে স্লোগান দিতে থাকে। আমরা চলে যেতে চাইলে আমাদের ওপর কয়েকধাপে হামলা চালায়। আমাদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়ামিন মোল্লা, সহ-সভাপতি আখতার হোসেন এবং কর্মী ইউনুস গুরুতর এবং আরও ১০ জনের বেশি আহত হয়েছে। তাদের আমরা ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এসেছি। ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি  ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে।

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে টিএসসিতে নেতাকর্মীদের অবস্থান নেওয়ার নির্দেশনা দেয় ঢাবি ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে ছাত্র অধিকারের প্রোগ্রামে বিশৃঙ্খলা তৈরি করলেও মারধরের কোনো নির্দেশনা ছিল না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ নেতা  বলেন, ’ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ভাইয়ের নির্দেশনা ছিল কোনো মারধর করা যাবে না। আমরাও সেটি পালন করছিলাম। তবে সাধারণ সম্পাদক সৈকত ভাইয়ের অনুসারীরা মারধর শুরু করে।’

ভুক্তভোগী এক সাংবাদিক বলেন, আমি দায়িত্ব পালন করতে গেলে জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের জয়েন্ট সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান ফরিদসহ কয়েকজন আমার দিকে তেড়ে আসে। ভিডিও করছি কেন জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে এবং মোবাইল ফোন দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। সাংবাদিক পরিচয় দিলেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে। পরে প্রক্টরিয়াল টিম ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা এসে আমার পরিচয় দিলে তারপর তারা চলে যায়।

ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত  বলেন, এ ঘটনার কোনো কিছু আমি জানি না। আমি খোঁজ নিচ্ছি।

 

সর্বশেষ - আইন-আদালত