বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের তমব্রু সীমান্তের কোনারপাড়ার শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে কিছু ঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আশ্রয়শিবির ছেড়ে পালাচ্ছেন রোহিঙ্গারা। আজ বুধবার রাত আটটার দিকে সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা যায়, ঘরগুলোতে আগুন জ্বলছে। সেই সঙ্গে হচ্ছে গোলাগুলি।
রাত আটটার দিকে সন্ধ্যায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা বলেন, তমব্রু শূন্যরেখার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে কিছু ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখনো সেখানে আগুন জ্বলছে, চলছে গোলাগুলি। এ মুহূর্তে সেখানে যাওয়ার পরিস্থিতি নেই। সেখানকার রোহিঙ্গাদের অনেকেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। আবার অনেক রোহিঙ্গা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলে গেছেন। গোলাগুলির শব্দ আগের চেয়ে বেড়েছে।
এর আগে সকাল ৬টার পর থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঘুমধুমের তমব্রু সীমান্তের কোনারপাড়ার শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে মিয়ানমারের সশস্ত্র দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে হামিদ উল্লাহ (২৭) নামের তরুণ নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে মুহিব উল্লাহ (২৫) নামের একজন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, মিয়ানমারের শূন্যরেখায় থাকা রোহিঙ্গাদের দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে গোলাগুলি হচ্ছে। আর কোনো রোহিঙ্গাকে উখিয়া-টেকনাফের আশ্রয়শিবিরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। কারণ, তাঁরা মিয়ানমারের। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।












The Custom Facebook Feed plugin