ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের গেটে রাখা দুটি নিরাপত্তা মেশিন, আর্চওয়ে। এর একটি দুই বছর ধরে নষ্ট। আরেকটি চলে তো চলে না। আদালতের বাইরের গেট বা ভবনের বাইরে কোথাও নেই কোনো সিসি ক্যামেরা। দুজন আসামি আনা-নেওয়ার জন্য একজন কনস্টেবল। এভাবেই চলছে ঢাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই আদালত প্রাঙ্গণ।
আইনজীবীরা বলছেন, পরীমনির মতো সেলিব্রেটি আসামিদের সঙ্গে বিপুল সংখ্যক পুলিশ থাকলেও জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের আদালতে আনা-নেওয়ার জন্য তেমন কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থাই নেওয়া হয় না। ফলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকেও আদালত প্রাঙ্গণ থেকেই পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া যায়।
অন্যদিকে পুলিশ বলছে, এমনটি ঘটবে তা নাকি তারা ধারণা করেননি। কেন ঘটেছে তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি আদালতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নতুন করে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনার কথা ভাবছেন তারা।
রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। এসময় আসামি আরাফাত ও সবুজকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে জঙ্গিরা। পরে ঘটনাস্থল থেকে আরাফাত ও সবুজকে আটক করা হয়।
সেদিন ওই দুই জঙ্গির সহযোগীরা দায়িত্বরত পুলিশের উপর পিপার স্প্রে ছিটিয়ে, কিল-ঘুষি মেরে ছিনিয়ে নেয় দুজনকে। এ ঘটনায় সরাসরি জড়িত কাউকেই এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি কারা ওই ঘটনায় অংশ নিয়েছিল তাদের কারো ছবি প্রকাশ হয়নি। পালিয়ে যাওয়া যে দুজনের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, তা তাদের মামলার ফাইলে থাকা ছবি।
আদালত থেকে বের হয়ে তারা একটি লাল রঙের মোটরসাইকেলে রায়সাহেব বাজার মোড়ের দিকে পালিয়ে যায়। সেখানকার একটি সিসিটিভি ফুটেজে এক মোটরসাইকেলে তিনজনকে চলে যেতে দেখা গেলেও সেখান থেকে তারা কোথায় গেছে বা কোনদিকে গেছে, তা আর জানা যায়নি। অনেকটা যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি।












The Custom Facebook Feed plugin