দেশবাসীকে ২৮ অক্টোবরের শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, শনিবার মহাসমাবেশ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে করতে চায় বিএনপি। কিন্তু নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে সরকার। নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে মহাসমাবেশ ঘিরে অসংখ্য নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
রাজধানীর নয়াপল্টনে শুক্রবার বিএনপির ডাকা জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সারাদেশের মানুষের প্রতি আহ্বান থাকবে ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য, শোষণমুক্ত সমাজে বসবাস করার জন্য, স্বাধীনভাবে কথা বলার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য সমাবেশে আসতে হবে।
তিনি বলেন, সমাবেশে উপস্থিত হয়ে সরকারকে পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিতে হবে, এ দেশের মানুষের প্রতি অত্যচার নির্যাতন আর নয়, যথেষ্ট হয়েছে।
এ সময় সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ সরকার অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এমন কোনো সেক্টর নেই যে সেই সেক্টরকে দলীয়করণ করেনি সরকার।
আওয়ামী লীগ সরকার ১৫ বছরে পুরো রাষ্ট্র কাঠামো দলীয়করণ করে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গত দুটি নির্বাচন প্রহসনে পরিণত করে বেআইনিভাবে ক্ষমতায় বসে আছে তারা। সরকার ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এখন রাষ্ট্রের সকল সংকট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। জনগণের সরকার গঠন না হলে দেশের অর্থনৈতিক রাজনৈতিক সংকট নিরসন সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দল একমত হয়ে এজন্য এক দফার দাবি তুলে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছে। বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো নিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছে, সরকার প্রতি পদে পদে রাষ্ট্রীয় যন্ত্র, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে বাধা দিয়ে এসেছে। আমাদের মহাসমাবেশের উদ্দেশ্য- সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ভোটের অধিকার, মৌলিক অধিকার রক্ষায় সারাদেশে সকলের প্রতি আহ্বান মহাসমাবেশে যোগ দিয়ে সরকারকে না বলে দিন। এখনও আশা করছি, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে, পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির আহ্বান- সবাই এগিয়ে আসুন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে সংকটের সমাধান করতে হবে। বিএনপি সংঘাতের কোনো আশংকা করছে না। তবে সরকার যদি কোনো বাড়াবাড়ি করে তাহলে তার পরিণতিতে কিছু হলে দায় সরকারকেই নিতে হবে। সরকার লাঠি নিয়ে সমাবেশে আসার কথা বলছে, অর্থাৎ সরকার উস্কানি দিচ্ছে।