বুধবার , ১১ অক্টোবর ২০২৩ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. খুলনা
  7. খেলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বাংলাদেশ
  15. বিনোদন

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশকে এককভাবে টার্গেট করা হচ্ছে: ব্লুমবার্গ

প্রতিবেদক
Newsdesk
অক্টোবর ১১, ২০২৩ ১১:৫৯ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশে আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ভিসা নীতির তীব্র সমালোচনা করেছে নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে ঘোষণা করা ভিসা নীতিকে ‘অস্পষ্ট বিবৃতি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে। সেখানে বলা হয়েছে, আমেরিকার নিষেধাজ্ঞাগুলো ন্যায্য নয়, কারণ এসব দেখে মনে হচ্ছে যে, বাংলাদেশকে এককভাবে টার্গেট করা হচ্ছে।

স্টেট ডিপার্টমেন্ট লাইবেরিয়া, সিয়েরা লিওন এবং নাইজেরিয়াসহ অন্যান্য দেশের উপর একই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করলেও এটি মার্কিন অংশীদারসহ অন্যদের টার্গেট করা থেকে বিরত রয়েছে। যেখানে সেনাবাহিনী সম্প্রতি থাইল্যান্ড এবং পাকিস্তানের মতো নির্বাচনে প্রকাশ্যে হস্তক্ষেপ করেছে।

ব্লুমবার্গ ওপিনিয়ন কলামিস্ট এবং নয়াদিল্লির অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ফেলো মিহির শর্মা নিবন্ধে বলেন, অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ গত এক দশক ধরে সাফল্য দেখিয়ে যাচ্ছে। ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিকভাবে ৬ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে এবং গড়ে ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইনের মতো দেশগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ শিগগিরই দরিদ্র দেশগুলোর তালিকা থেকে ‘উত্তরণ’ করবে এবং বিভিন্ন বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহায়তার সুযোগ পরিত্যাগ করবে।

আশাবাদী হওয়া কঠিন যে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দেশের আসন্ন ভোট অনেক বেশি বাধাহীন হবে। তা সত্ত্বেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভুলে যাওয়া ‘গণতন্ত্র প্রথম’ পররাষ্ট্র-নীতি এজেন্ডায় বাংলাদেশকে মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা অনুধাবন করা সমান কঠিন।

গত মাসে একটি অস্পষ্ট বিবৃতিতে, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ঘোষণা করেছে যে, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করার জন্য তারা ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলসহ বাধাদানকারী সবার উপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের জন্য ‘পদক্ষেপ নিয়েছে’। এই ধরনের খোলাখুলি ধমকানো ন্যায্য বা সংবেদনশীল নয়।

নীতিটি যুক্তিসঙ্গত নয়- এমন উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারণ এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পক্ষপাতদুষ্ট করে তুলেছে। ওয়াশিংটনের কেউ হয়তো মনে করেন, ভারত ও তুরস্কের মতো গণতান্ত্রিক ব্যাকস্লাইডারদের তুলনায় বাংলাদেশের গুরুত্ব ন্যূনতম। যদি তাই হয়, তবে এটি উল্লেখযোগ্যভাবে অদূরদর্শী হবে।

বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করার মূল্য হবে অনেক বেশি। এটি বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, একটি মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশ, যেটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে একটি ক্ষতবিক্ষত অভ্যন্তরীণ লড়াই করেছে, একটি পরিবর্তনের কারণে মৌলবাদীরা ভালভাবে হেরে যেতে পারে।

সর্বশেষ - আইন-আদালত