ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন এখন পর্যন্তু সুষ্ঠু হচ্ছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কেউ ভোট দিতে পারছেন না, এমন অভিযোগ এখনও পায়নি নির্বাচন পরিচালনাকারী সংস্থাটি।
সোমবার দুপুরে ঢাকা-১৭ আসনসহ স্থানীয় সরকারের ৭৮টি প্রতিষ্ঠানের ভোট নিয়ে এক ব্রিফিং এ কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার রাশিদা সুলতানা।
তিনি বলেন, ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনে সকালের দিকে ভোটার উপস্থিতি বেশ কম ছিলো। সব প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টরাও সময় মতো উপস্থিত ছিলেন না। পোলিং এজেন্টেদের মোবাইল নেওয়া নিষেধ সত্ত্বেও যাদের কাছে মোবাইল পাওয়া গেছে তা নিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মোবাইল নিয়ে সাংবাদিক কেন্দ্রে প্রবেশ করায় যে প্রিসাইডিং অফিসার দুর্ব্যবহার করেছেন সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান এই ইসি কর্মকর্তা।
কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, অল্প সময় ও মেয়াদে নির্বাচন হওয়ায় ভোটাদের আগ্রহ কম হতে পারে। তাছাড়া সকালে বৃষ্টি ছিলো। একই সঙ্গে অভিজাত এলাকার মানুষের ভোট নিয়ে আগ্রহ কমও থাকতে পারে। তবে ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।
একজন প্রার্থীর নির্বাচন বর্জনের ব্যাপারে তিনি বলেন, কোনো অভিযোগ না করেই তিনি ভোট বর্জন করেছেন। সে ব্যাপারে দেখতে হবে।
বিফ্রিংয়ে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবীব বলেন, আমরা ভোট সুষ্ঠু করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। ঢাকায় ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হতে পারে। কিন্তু বেনাপোল পৌরসভা যেখানে ১২ বছর পর ভোট হচ্ছে সেখানে প্রচুর ভোটার উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। ভান্ডারিয়ায় কেউ কেউ সিসি ক্যামেরার ক্যাবল কেটে দিয়েছে। সে ব্যাপারে গোয়েন্দা সদস্যদের মাধ্যমে তাদের খুঁজে বের করা হচ্ছে। তবে এর ফলে ভোটের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, ভান্ডারিয়া পৌরসভার ভোটে সিসি ক্যামেরার লাইন কেটে দেওয়া হয়েছিল। পরে তা ঠিক করা হয়েছে। সেখানকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই দুর্বৃত্তদের খুঁজছে।
ইসি কমিশনার বলেন, আমরা লুকোচুরিতে নয়, স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী। সাংবাদিকদের যদি কোনো কারণে বাঁধা দেওয়া হয় অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।












The Custom Facebook Feed plugin