দেশে বর্তমানে ৩০ দিনের ডিজেল, ১৮ থেকে ১৯ দিনের অকটেন, ১৮ দিনের পেট্রোল এবং ৩২ দিনের জেট ফুয়েল মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। পেট্রোল ও অকটেনের দাম কৌশলগত কারণে বাড়াতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিপিসি চেয়ারম্যান এ বিএম আজাদ। বুধবার জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) প্রধান কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১১টি উন্নয়ন প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় হবে ৩৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। মুনাফার একটি অংশ বিপিসি প্রকল্পের নামে জমা রেখেছে। বিপিসির পেমেন্টগুলো নিরবচ্ছিন্ন রাখতে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা অ্যাকাউন্টে রাখতে হবে। বিশ্ববাজারে তেলের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি পর্যবেক্ষণ করছিল বিপিসি। এফডিআর ভেঙে ভেঙে তেল কিনেছে সরকার। তেল সরবরাহে যাতে বিঘ্ন না ঘটে, সে জন্যই এসব ব্যবস্থা। প্রকল্পের টাকা এনে তেল কেনার কারেন্ট অ্যাকাউন্টে নগদায়ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা টাকা সরাতে-সরাতে ৩৪ হাজার কোটি টাকা থেকে কমে এখন ১৯ হাজার কোটি টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে প্রতি লিটার ডিজেলে ১২০ টাকা খরচ হচ্ছে বিপিসির, এ ক্ষেত্রে লিটারপ্রতি ৬ টাকার মতো লোকসান দিতে হচ্ছে।
অকটেনে ২৫ টাকার মতো বিপিসির লাভ হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেকেই বলছেন, বিপিসির টাকা দিয়ে কয়েক মাস চললে তেলের দাম বাড়াতে হতো না।












The Custom Facebook Feed plugin