রাজধানীর নয়াপল্টনে অবস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় কার্যক্রম চালাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর কোনো বাধা-নিষেধ নেই। খুলে দেওয়া হয়েছে নয়াপল্টনের সড়কও। এক্ষেত্রে যতটুকু সহযোগিতা করা প্রয়োজন তাও করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির যে গণসমাবেশ হয়েছে, সেটিকে কেন্দ্র করে বিএনপির পার্টি অফিসকেন্দ্রিক গত ৭ ডিসেম্বর অপ্রীতিকর ঘটনার সূত্রপাত হয়। এতে বেশকিছু সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এ ঘটনায় মামলা হয়। মামলার কার্যক্রম ও ক্রাইম সিনের জন্য বিএনপির কার্যালয় একদিনের মতো বন্ধ ছিল। পরে কার্যালয়ের চাবি তাদের (বিএনপি নেতাদের) কাছে দিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয় তাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল।
১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের সড়কে বেরিকেড দেওয়া প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে মতিঝিল বিভাগের ডিসি বলেন, ‘আমাদের কাছে বিভিন্ন সূত্রে তথ্য ছিল। সেসব তথ্য বিশ্লেষণ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং মতিঝিল এলাকায় শৃঙ্খলার স্বার্থে কিছু চেকপোস্ট বসানো হয়েছিল। যা এরইমধ্যে অপসারণ করা হয়েছে। নয়াপল্টনের সামনের সড়ক খোলা আছে। বর্তমানে মানুষের চলাচল ও যান চলাচলও স্বাভাবিক।’
এদিকে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স দলের কার্যালয়ে যাবেন বলেও জানা গেছে। তাকে কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আজকে আমরা খবর পেয়েছি, বিএনপির নেতারা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসবেন এবং তারা তাদের কার্যক্রম চালাতে পারবেন।’
নয়াপল্টনে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন থাকবে কি না, এ প্রসঙ্গে ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য যতটুকু প্রয়োজন, ঠিক ততটুকুই রাখা হবে।’












The Custom Facebook Feed plugin