সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারে অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি-জামায়াতসহ কয়েকটি দলের ডাকা তৃতীয় দফার অবরোধ চলছে।
দ্বিতীয় দফার অবরোধ শেষ হওয়ার আগেই নতুন কর্সমূচি ঘোষণা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ঘোষণা অনুযায়ী, বুধবার সকাল ছয়টা থেকে শুক্রবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত এ অবরোধ কর্মসূচি চলবে।
৭ নভেম্বর বিএনপি বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে। সে কারণে মঙ্গলবার অবরোধ দেয়নি দলটি।
গাবতলী টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, ফাঁকা রয়েছে গাবতলী বাস টার্মিনাল। নেই লোকজনের চলাচল। ছেড়ে যাচ্ছে না দূরপাল্লার কোনো বাস, অধিকাংশ কাউন্টারও বন্ধ। যাত্রী যদিও দু-একজন আসছেন, কিন্তু বাস না ছাড়ায় তারাও পড়েছেন বিপাকে।
কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা রফিক জানান, অবরোধ এলে যেমন যাত্রীর সংখ্যা কমে যায়, তেমনি ঝুঁকি বিবেচনায় মালিকরা গাড়ি ছাড়তে চায় না।
চুয়াডাঙ্গাগামী সিডি এক্সপ্লোর পরিবহণের কাউন্টার ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম বলেন, অবরোধ এলে মালিকরা ভয়ে গাড়ি ছাড়তে চায় না। যাত্রীরাও বুঝে গেছে যে অবরোধে গাড়ি পাওয়া যাবে না। তাই আজ কোনো লোকজন নেই।
মাগুরাগামী জেআর পরিবহণের কাউন্টার ম্যানেজার শাহজাহান বলেন, অবরোধের কারণে যাত্রীও নেই, ফলে বাসও ছাড়া হয় না।
টার্মিনাল ঘুরে এক যাত্রীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, কাউন্টারে যোগাযোগ করলাম। তার বলল, দু-একজন যাত্রী নিয়ে বাস নাকি ছাড়বে না। এখন আমার যাওয়াটা জরুরি। দেখি কী করা যায়।