আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, হত্যা করেছে, এই ব্যবস্থাকে আমরা চাই না। এই ব্যবস্থাকে আমরা বাতিল করিনি। বাতিল করেছে বিচার বিভাগ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন মরে গেছে, এটাকে জীবিত করার প্রয়োজন নেই। সারা দুনিয়ার কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
এদিন সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কেউ নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট কবেন না। আর করলে ব্যবস্থা নেবে কমিশন। সরকারের করার কিছু থাকবে না।
‘নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ বদনাম নিতে চায় না, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করাই লক্ষ্য,’ বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখতে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই। কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনের বাইরে থাকবে আওয়ামী লীগ তা চায় না।
‘সব দল থাকলে নির্বাচন আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হতো। তবে, কিছু দল না থাকলেও উৎসবমুখর নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করে। কিন্তু এমন ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারেন না।
বিদেশ থেকে রিমোট কন্ট্রোলে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের প্রচেষ্টা এবং বিএনপি নির্বাচন বিরোধী প্রোপাগান্ডা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের জানান, বড়বড় দেশগুলোর যুদ্ধের প্রভাব এসে পড়েছে বাংলাদেশের ওপর। আর ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এর দায় এড়াতে পারে না।
‘এমন পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে জাতীয় নির্বাচন করতে হচ্ছে। নির্বাচন করতে হচ্ছে প্রতিকূল এক সময়।’
একটি পক্ষ নির্বাচন বর্জনের পাশাপাশি বানচাল করতে নানা তৎপরতা চালাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচন বানচালের নামে ট্রেন, বাসসহ নানা যানবাহনে আগুন দিচ্ছে, মানুষ পুড়িয়ে মারছে।
পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ চলবে সকাল ১০টা সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে আওয়ামী লীগের পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ উপ-কমিটি। সারা দেশ থেকে দলীয় প্রার্থীর মনোনীত পোলিং এজেন্টদের ডাকা হয়েছে।
প্রশিক্ষণের জন্য এর আগে নৌকা প্রতীকের প্রতিটি আসন থেকেই পাঁচজন পোলিং এজেন্ট চাওয়া হয়েছিল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা-৯ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, পোলিং এজেন্ট নিয়োগকে গুরুত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করা জরুরি।
আসন্ন ভোটে ৩০০ আসনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪২ হাজার। আর বুথ থাকবে দুই লাখ ৪১ হাজার। প্রত্যেক বুথে দুইজন করে পোলিং এজেন্ট রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ।












The Custom Facebook Feed plugin