সোমবার , ৩ জুলাই ২০২৩ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. খুলনা
  7. খেলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বাংলাদেশ
  15. বিনোদন

বিকল্প জ্বালানি মিথানল আসা শুরু হলো ভারত থেকে

প্রতিবেদক
Newsdesk
জুলাই ৩, ২০২৩ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অকটেন ও ডিজেলের তুলনায় অনেক সাশ্রয়ী ও কম দূষণকারী বিকল্প জ্বালানি মিথানল। ভারত থেকে এই মিথানল আমদানি শুরু হলো বাংলাদেশে। ভারতের আসামে একটি পেট্রোকেমিক্যাল প্লান্টে উৎপাদিত মিথানলের প্রথম কনসাইনমেন্ট বা চালানটি শনিবার রওনা হয়ে রবিবার (২ জুলাই) সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

ডিব্রুগড় জেলার নামরূপে আসাম পেট্রোকেমিক্যাল প্লান্টের (এপিএল) ক্যাম্পাস থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হওয়া এই মিথানলবাহী ট্রাকটির যাত্রা ফ্ল্যাগ-অফ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। রাজ্য ও কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, এমএলএ-এমপি এবং শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারাও ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন।

মিথানল হলো আসলে একটি লো-কার্বন ও হাইড্রোজেনবাহী জ্বালানি, যা হাই অ্যাশ কোল, নানা ধরনের কৃষিবর্জ্য, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপন্ন কার্বন ডাই অক্সাইড এবং নানা ধরনের প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে তৈরি করা যায়। এটিকে অনেকে ‘উড অ্যাশ’ নামেও ডাকেন। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো অকটেন বা ডিজেলের সঙ্গে মিশিয়ে (বা আলাদাভাবেও) এটিকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এতে খরচ অনেক কম পড়ে এবং দূষণও কম হয়। এনার্জি সেক্টরের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা অনেকেই মিথানলকে ‘ভবিষ্যতের জ্বালানি’ হিসেবে চিহ্নিত করছেন।

বাংলাদেশের পেট্রল পাম্পগুলোতে মিথানল-মিশ্রিত জ্বালানি বিক্রি শুরু হলে জ্বালানি তেলের দাম অনেকটা কমিয়ে আনা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতেও বেশ কয়েকটি জায়গায় ইতোমধ্যেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।

যেমন আসামের তিনসুকিয়া জেলায় গত বছরের মে মাস থেকেই ‘এম-১৫’ নামে এক বিশেষ ধরনের পেট্রল বিক্রির পাইলট প্রজেক্ট শুরু করা হয়েছে, যেটির দামও সাধারণ পেট্রলের তুলনায় অনেকটা কম। শতকরা ১৫ ভাগ মিথাইল মেশানো বলেই এই জ্বালানিটির এ ধরনের নামকরণ। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, মিথাইল-মিশ্রিত এই ধরনের পেট্রল সাধারণ পেট্রলের তুলনায় অন্তত ৩৩ শতাংশ কম গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন ঘটায়।

বস্তুত ট্রেন এবং জাহাজও মিথানলে চালানো সম্ভব – সেই লক্ষ্যেও নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

ভারতের নীতি আয়োগ (সরকারি যে থিঙ্কট্যাঙ্কটি উন্নয়নের পরিকল্পনা প্রস্তুত করে) এ দেশে একটি সম্ভাব্য ‘মিথাইল অর্থনীতি’র রূপরেখাও চিহ্নিত করে ফেলেছে। বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান বা শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলোতে ভারত যে মিথাইল রফতানি করতে পারবে, সে কথাও ঘোষণা করা হয়েছে নীতি আয়োগের ব্লু প্রিন্টে।

বস্তুত ভারতের সিনিয়র ক্যাবিনেট মন্ত্রী নীতিন গডকরি গত জানুয়ারি মাসেই জানিয়েছিলেন, ভারত থেকে ইথানল (এটিও মিথানলের মতো আর একটি বিকল্প জ্বালানি যা জৈব উৎস থেকে তৈরি হয়) আমদানি করার ব্যাপারে বাংলাদেশ উৎসাহ দেখিয়েছে।

বণিকসভা সিআইআই-এর একটি কনফারেন্সে নীতিন গডকরি সে দিন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আমার আলোচনার সুযোগ হয়েছে। কথা হয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকারের সঙ্গেও। পেট্রলের সঙ্গে ইথানল মিশিয়ে যাতে তারা নিজ নিজ দেশে বিক্রি করতে পারেন, সে জন্য বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা উভয়েই ভারত থেকে ইথানল আমদানি করতে চায়।’

সর্বশেষ - আইন-আদালত