রাশিয়া ও ক্রিমিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী একমাত্র কার্চ সেতুটি ধসে পড়ার পর সেটি আংশিকভাবে সচল করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টার মাথায় রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
রোববার (৯ অক্টোবর) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেতুটিতে কিছু পরিমাণে গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে।
রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলের প্রতীক এই সেতুটিতে শনিবারের বিস্ফোরণে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে রাশিয়ার তদন্তে বলা হয়েছে।
রাশিয়ান কর্মকর্তারা বলছেন, একটি লরি বিস্ফোরণের সময় কাছাকাছি থাকা একটি গাড়ির তিন আরোহী নিহত হন।
তেলের ট্যাংকারে আগুন ধরে যাওয়া রেলসেতুটিও খুলে দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি ভিডিও প্রকাশ করে যেখানে সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি চলতে দেখা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, শনিবার ভোরের দিকে ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়াতে জুড়েদেয়া সেতুতে জ্বলানি ট্যাংকারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। প্রথমে একটি ট্রাক বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
পরে চারটি তেলবাহী লরিতে এই আগুন ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। সেতুর ওপর দাউদাউ করে ট্যাংকারটি জ্বলতে দেখাগেছে। বিস্ফোরণের অংশটি ধসে পড়ে।
রাশিয়া-ক্রিমিয়ার মধ্যে স্থলসংযোগের একমাত্র মাধ্যমএই কার্চ সেতু। এটি কার্চ প্রণালীর ওপর নির্মিত এই সেতুটি প্রায় ১৯ কিলোমিটার লম্বা।
এই অবকাঠামোকে ক্রিমিয়া ও দক্ষিণ ইউক্রেন অঞ্চলে রুশ আধিপত্যের প্রতীক হিসাবে দেখা হয়। এছাড়া, ইউক্রেনের দক্ষিণে রুশ সামরিক অভিযান টিকিয়ে রাখার অন্যতম চাবিকাঠিও এই কার্চ সেতু।












The Custom Facebook Feed plugin