রবিবার , ৯ জুলাই ২০২৩ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. খুলনা
  7. খেলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বাংলাদেশ
  15. বিনোদন

ভারতের সঙ্গে রুপিতে লেনদেন শুরু ১১ জুলাই

প্রতিবেদক
Newsdesk
জুলাই ৯, ২০২৩ ১:১৯ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যিক লেনদেনে নিজ নিজ মুদ্রা টাকা ও রুপি ব্যবহার করবে। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই লেনদেন প্রক্রিয়া উদ্বোধন করবেন দুই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।

তবে শুরুতে কেবল রুপিতে লেনদেন হলেও, পরে যুক্ত হবে টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এতে ডলারের ওপর চাপ কমবে, লাভবান হবে দুই দেশই।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে সৃষ্ট চলমান ডলারের সংকটের মধ্যে কয়েকমাস ধরেই টাকা ও রুপিতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের লেনদেনের বিষয়ে আলোচনা চলছিলো বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে।

ব্যাকের মাধ্যমে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা ঠিক কোন পদ্ধতিতে নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেন সারবেন তার রূপরেখাই ছিল উভয় দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে আলাপ আলোচনার বিষয়।

অবশেষে সেই আলোচনাই পেতে যাচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এক আয়োজনের মাধ্যমে দুই দেশের গভর্নর ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ট্রেড ইন ইন্ডিয়ান রুপীর উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক জানান, প্রাথমিকভাবে চারটি ব্যাংকের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া শুরু হলেও, পর্যায়ক্রমে সবাই এর আওতায় আসবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, দুই দেশের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক এ বাণিজ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে রফতানি প্রায় দুই বিলিয়ন বিপরীতে আমদানি প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার। তাই দুই বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ লেনদেন টাকা ও রুপিতে সম্পন্ন করবে দুই দেশ। বাকিটা বরাবরের মতো মার্কিন ডলারে পরিশোধ করা হবে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ঋণপত্র খুলতে ডলারের এ সংকটের সময়ে এমন উদ্যোগ ইতিবাচক।

এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট মো: জসিম উদ্দীন বলেন, ভারতের সাথে চীনের সম্পর্ক খুব একটা ভালো না হলেও, তাদের মধ্যে প্রায় দেড়শ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়। আমরাও ভারতের কাছে অনেক ধরণের পণ্য বিক্রি করতে পারি।

এদিকে বিশ্লেষকদের অভিমত, নিজ মুদ্রায় লেনদেনের সুফল পেতে হলে কমাতে হবে বাণিজ্য ঘাটতিও।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, এর ফলে আমরা প্রতিমাসে যে আকু পেমেন্ট করি তার ওপর থেকে খানিকটা চাপ কমবে। ভারত বিভিন্ন জায়গা থেকে যে পরিমাণে আমদানি করে তার এক শতাংশ আমরা ধরতে পারলেও আমাদের রপ্তানি প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারের বেশি বেড়ে যাবে।

এছাড়াও ডলারের একক আধিপত্য কমাতে কেবল ভারত নয়, রাশিয়ার সঙ্গে কারেন্সি সোয়াপ চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ। চীনও বাংলাদেশের সঙ্গে কারেন্সি সোয়াপের প্রস্তাব দিয়েছে।

সর্বশেষ - আইন-আদালত

আপনার জন্য নির্বাচিত