ভারতে ধর্মীয় বৈষম্যের অস্তিত্ব অস্বীকার করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার দাবি, তার সরকারের অধীনে ভারতে সংখ্যালঘুদের প্রতি কোনো বৈষম্য করা হয় না।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২২ জুন) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই দাবি করেন।
যদিও ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘু, ভিন্নমতাবলম্বী এবং সাংবাদিকদের নির্যাতনের বিষয়ে বিস্তারিত অভিযোগ সামনে এনেছে বহু মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। শুক্রবার (২৩ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমন্ত্রণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় সফর করছেন। ২০১৪ সালে প্রথমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি বেশ কয়েকবারই দেশটিতে সফরে গেছেন এবং তবে প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণের কারণে মোদির এই সফরটি যুক্তরাষ্ট্রে তার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর বলে বিবেচিত হচ্ছে।
তবে গুরুত্বপূর্ণ এই সফরের শুরুতেই মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন মোদি। এমনকি মোদির মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠিও লিখেছেন ৭৫ জন মার্কিন আইনপ্রণেতা।
ওই চিঠিতে ওয়াশিংটন সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ভারতে মানবাধিকারের বিষয়গুলো উত্থাপন করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে অনুরোধ করেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের ওই ৭৫ জন সদস্য। মার্কিন কংগ্রেসের সিনেট ও হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের এই আইনপ্রণেতারা সবাই ডেমোক্র্যাট দলীয়।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, তিনি হোয়াইট হাউসে আলোচনার সময় মোদির সাথে মানবাধিকার এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
পরে প্রেস কনফারেন্সে কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানে ‘আপনার দেশের মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের অধিকারের উন্নতি এবং বাকস্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য আপনি কি পদক্ষেপ নিতে ইচ্ছুক,’ এমন প্রশ্ন করা হলে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, তাদের উন্নতি করার দরকার নেই।
মোদি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সংবিধান ও আমাদের সরকার এবং আমরা প্রমাণ করেছি, গণতন্ত্র ঠিকমতো চলতে পারে। জাতি, ধর্ম, ধর্ম, লিঙ্গ ইস্যুতে ভারতে (আমার সরকারে) বৈষম্যের কোনো স্থান নেই।’
রয়টার্স বলছে, মানবাধিকার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কিত প্রতিবেদনে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভারতে মুসলমান, হিন্দু দলিত, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং দেশটির সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টি সামনে এনেছে।












The Custom Facebook Feed plugin