ইরাকের রাজধানী বাগদাদের সুরক্ষিত গ্রিন জোন হিসেবে পরিচিত মার্কিন দূতাবাস লক্ষ্য রকেট হামলা চালানো হয়েছে।
শুক্রবার এ হামলা চালানো হয়।
ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের সময় এ ধরনের হামলা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, বাগদাদ দূতাবাস কমপ্লেক্সের আশপাশে মাল্টি-রকেট হামলা চালানো হয়। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এ হামলার দায় এখনও কেউ স্বীকার করেনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাক এবং প্রতিবেশী সিরিয়ায় জিহাদিদের বিরুদ্ধে লড়াইরত একটি আন্তর্জাতিক জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছে, সম্প্রতি তার বাহিনী বারবার হামলার শিকার হয়েছে।
গাজা উপত্যকায় মার্কিন মিত্র ইসরায়েল এবং ইরান-সমর্থিত ফিলিস্তিনি ইসলামি গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের পটভূমিতে এ হামলার ঘটনা ঘটল।
এক বিবৃতিতে মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, ভোর সোয়া ৪টার দিকে মিশন কম্পাউন্ডে দুটি রকেট মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে এ হামলা ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী চালিয়েছে। আমরা আবার ইরাক সরকারকে আহ্বান জানাই… কূটনৈতিক এবং জোটের অংশীদার কর্মীদের এবং সুযোগ-সুবিধা রক্ষার জন্য কিছু করার। আমরা পুনর্ব্যক্ত করছি আমরা আত্মরক্ষার অধিকার সংরক্ষণ করি এবং বিশ্বের যে কোনো স্থানে আমাদের কর্মীদের রক্ষা করি।
অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন বা জোট বাহিনীর বিরুদ্ধে ইরানপন্থি গোষ্ঠীগুলো কয়েক ডজন রকেট বা ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
কিন্তু শুক্রবারের রকেট হামলা ছিল বাগদাদে মার্কিন দূতাবাস লক্ষ্য করে। যা গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর, যা আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং বৃহত্তর সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি করেছে।
একজন ইরাকি নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, আমেরিকান দূতাবাস লক্ষ্য করে চালানো তিনটি কাতিউশা রকেট টাইগ্রিস নদীর কাছে গ্রিন জোনের কাছে পড়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছি কারণ মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার অনুমতি নেই।
ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর পুনরুত্থান রোধ করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইরাকে প্রায় ২৫০০ মার্কিন সেনা এবং সিরিয়ায় প্রায় ৯০০ সেনা রয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি












The Custom Facebook Feed plugin