নাশকতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক নূর ইসলাম।
মির্জা আব্বাসের আইনজীবীরা তার রিমান্ড আবেদন বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতে শাহজাহানপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিএনপির মহাসমাবেশের দিন সহিংসতার ঘটনায় রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় মির্জা আব্বাসসহ কয়েকশ নেতাকর্মীকে আসামি করে ছয়টি মামলা হয়। প্রত্যেকটি মামলায় মির্জা আব্বাসসহ ৪৯ জন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়। এর বাইরে ৭০০-৮০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
নাশকতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলার বাদী শাহজাহানপুর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান। মামলার প্রধান আসামি মির্জা আব্বাস।
মঙ্গলবার রাতে শাজাহানপুরের শহীদ বাগ মসজিদ এলাকার একটি বাসা থেকে আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে ডিবি অফিসে নেওয়া হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে নয়াপল্টনে সমাবেশ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ ওরফে আব্বাসের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় আসামিরা বেআইনিভাবে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে স্লোগান দেয়। তারা জনমনে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি করে শাহজাহানপুর থানাধীন এলাকায় বিভিন্ন প্রকার নাশকতামূলক ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা এবং হত্যার উদ্দেশ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে তারা। এসময় আসামিরা অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়।












The Custom Facebook Feed plugin