মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে টর্নেডোর ভয়াবহ আঘাতে কমপক্ষে ২৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। টর্নেডোয় বিধ্বস্ত অনেক ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকে আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে এ তাণ্ডব চালিয়েছে টর্নেডো।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, কয়েকটি গ্রামীণ শহরে ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি করেছে ওই টর্নেডো। এসব এলাকায় অনেক গাছ ও বিদ্যুতের লাইন ভেঙে পড়েছে। যে কারণে হাজার হাজার মানুষ বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের মুখোমুখি হয়েছেন।
এদিকে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের আরও কয়েকটি রাজ্যে শক্তিশালী ঝড় আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে। মিসিসিপির কয়েকটি এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গেছে।
পশ্চিম মিসিসিপির ছোট শহর রোলিং ফর্কের বাসিন্দারা বলেছেন, টর্নেডোর আঘাতে তাদের বাড়ির পেছনের জানালা উড়ে গেছে। ওই এলাকায় বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা ব্র্যান্ডি শোয়াহ সিএনএনকে বলেছেন, আমি কখনো এমন টর্নেডো দেখিনি… এটা খুব ছোট শহর এবং শহরটি প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে।
কর্নেল নাইট নামে অপর এক বাসিন্দা মার্কিন বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, স্ত্রী এবং তিন বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে রোলিং ফর্কের এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন তিনি। টর্নেডো আঘাত হানার ঠিক আগেও শহরটি বেশ শান্ত ছিল। টর্নেডো আঘাত হানার মুহূর্তের পরিস্থিতি বর্ণনায় তিনি বলেন, আকাশ একেবারে অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল। ওই সময় প্রতিটি ট্রান্সফরমারে বিস্ফোরণ ঘটে।
তিনি বলেন, টর্নেডো তার এক স্বজনের বাড়িতে আঘাত হেনেছে। এতে ওই বাড়ির দেয়াল ধসে ভেতরে বেশ কয়েকজন আটকা পড়েছেন।
মিসিসিপির গভর্নর টেট রিভস টুইটারে বলেছেন, অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করছে।












The Custom Facebook Feed plugin